উপস্থাপনা :
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জীবিকা নির্বাহের জন্য অসংখ্য উপকরণের প্রয়োজন হয়। এসব উপকরণের মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি মৌলিক উপকরণ হিসেবে পরিগণিত এবং এগুলো মানুষের মৌলিক চাহিদা; কিন্তু খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও সম্প্রতি অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবন অস্বস্তিকর অবস্থার সম্মুখীন।
দ্রব্যমূল্যের সাথে জীবনযাত্রার সম্পর্ক :
দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতার সাথে জীবনযাত্রার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। কারণ দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকলে মানুষ তাদের সীমিত আয়ে পরিকল্পিতভাবে সাংসারিক ব্যয় পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে এ সীমিত আয় দ্বারা সংসার পরিচালনা করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। যার ফলে অভাব নামক রাক্ষুসীর রাহুগ্রাসে নিপতিত হয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করে।
দ্রব্যমূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি :
বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি একটি ক্রমবর্ধমান অভিশাপরূপে মানবসমাজে প্রভাব বিস্তার করেছে। বর্তমান জগতে ন্যায়সঙ্গত ও নির্ধারিত মূল্য বলতে কিছুই নেই। অতীতের অনেক কথা আজ আমাদের নিকট রূপকথার মতোই মনে হয়। যেমন- এক টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত, এক পয়সায় এক সের লবণ, দু'পয়সায় এক সের দুধ ইত্যাদি।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এ দেশে চাল, আটা, ভোজ্য তেল, ডাল, শাকসবজি, জ্বালানি তেল, গুঁড়ো দুধ এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গড় মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাছাড়া বাসা ভাড়া, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎসহ নানা প্রকার সেবার মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে।
আরও পড়ুন :- বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও তার প্রতিকার : বাংলা প্রবন্ধ রচনা
জনজীবনের ওপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া :
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ :
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সামাজিক প্রভাব :
আরও পড়ুন :- প্রবন্ধ রচনা : মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার - ২০ পয়েন্ট
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরিণাম :
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিকার :
ক. জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ করে চাহিদার পরিমাণ কমাতে হবে এবং যোগান বাড়াতে হবে।
গ. কালোবাজারি ও মজুতদারগণ বেশি লাভের আশায় দ্রব্যসামগ্রী কুক্ষিগত করে রাখে- যাতে তা করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঘ. দেশের যে কোনো উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারি কর প্রদানের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ব্যবস্থার জটিলতার কারণে অনেক সময় ব্যবসায়ী, উৎপাদক, সরবরাহকারীগণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে থাকে এবং বাজারে তার প্রতিক্রিয়া ঘটে। এর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঙ. কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দান, ভালো বীজ সরবরাহ, প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকের সহজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ছ. কর ব্যবস্থা সহজীকরণ করতে হবে ।
ঝ. প্রতিটি দোকানে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা সরকারিভাবে প্রদান ও তা সংরক্ষণ এবং সে অনুসারে বেচাকেনা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
উপসংহার :
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা