গ্রীষ্মকাল - বাংলা রচনা : ক্লাস ৩, ৪, ৫

ভূমিকা :

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ছয়টি ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্মকাল প্রথম । পহেলা বৈশাখে নববর্ষের উৎসবের মধ্য দিয়ে গ্রীষ্মের আগমন হয় । গ্রীষ্মকাল আসে খাঁ খাঁ রোদ আর কালবৈশাখী ঝড় নিয়ে । 

সময়কাল : 

বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস মিলে গ্রীষ্মকাল। বৈশাখের রুদ্র-রুক্ষ পরিবেশ প্রকৃতিকে অনেকটা বিবর্ণ করে তোলে ।

প্রকৃতির রূপ : 

গ্রীষ্মকালে দিনের বড় সময়জুড়ে থাকে কাঠফাটা রোদ। এ ঋতুতে দিন বড় আর রাত ছোট হয়। প্রখর রোদে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়ের পানি অনেকটাই শুকিয়ে যায়। মাঠ ফেটে হয় চৌচির। প্রকৃতি এ সময় প্রাণহীন হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে সন্ধ্যা বা রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি নিয়ে আসে সাময়িক শীতল ছোঁয়া ।

আরও পড়ুন :- বর্ষাকাল - রচনা : ক্লাস 3, 4, 5

গ্রীষ্মকালীন ফল : 

গ্রীষ্মে প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে পড়লেও এ সময় প্রচুর পরিমাণে ফল পাওয়া যায়। জাতীয় ফল কাঁঠাল গ্রীষ্মকালেই ফলে । এছাড়া আম, জাম, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি ফলের ধুম পড়ে যায়। মিষ্টি রসালো ফলের প্রাচুর্যের কারণে জ্যৈষ্ঠকে মধুমাস বলা হয়ে থাকে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এসব ফল দারুণ দাবদাহে নিয়ে আসে প্রশান্তির পরশ।

অসুবিধা : 

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। এ সময় লোকে কলেরা, ডায়রিয়া, সর্দিগর্মি ইত্যাদি অসুখবিসুখে আক্রান্ত হয়। নদীর পানি কমে গিয়ে নৌযান চলাচলে সমস্যা হয়। এ ছাড়া ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষতি হয় ।

উপসংহার : 

গ্রীষ্ম দারুণ গরমে জীবন কষ্টকর করে তুললেও তা ঋতুবৈচিত্র্যেরই অংশ। গ্রীষ্মের রুক্ষতারও রয়েছে ভিন্নরকম এক সৌন্দর্য। আর সুমিষ্ট ফলের পসরায় প্রকৃতির ক্ষতি যেন অনেকটাই পুষিয়ে দেয়।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা

Post a Comment

0 Comments