ভূমিকা :
কোনো নদী বা জলধারা পাহাড় কিংবা উঁচু জায়গা থেকে সোজা অনেক নিচে পড়লে তাকে জলপ্রপাত বলে। দর্শনীয় নায়াগ্রা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জলপ্রপাত। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তে নায়াগ্রা নদীতে অবস্থিত। বিশ্বের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ নায়াগ্রা ফল্স বা জলপ্রপাত।
নায়াগ্রার ইতিহাস :
নায়াগ্রা জলপ্রপাত প্রায় ১১,০০০ বছরের প্রাচীন । কানাডার অন্টারিওর দক্ষিণ অংশে একসময় জমে থাকা পুরু বরফের স্তর গলে এ জলপ্রপাতটির সৃষ্টি হয়েছে।
নায়াগ্রার বৈশিষ্ট্য :
জলপ্রবাহের পরিমাণের ভিত্তিতে নায়াগ্রা পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম জলপ্রপাত। এটি আসলে তিনটি জলপ্রপাত্তের মিলিত রূপ। এগুলো হলো হর্সশু ফলস বা কানিজ
আমেরিকান ফলস এবং ব্রাইডকল ভিলফলক। সর্বোচ্চ প্রবাহের সময় এ জলপ্রপাতের মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ৬০ লক্ষ ঘনফুটের বেশি পানি প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন :- জলবায়ু পরিবর্তন - বাংলা প্রবন্ধ রচনা
নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকাটি একসময় খুব প্রত্যন্ত ছিল। পর্যটনকে কেন্দ্র করে ক্রমে এলাকাটিতে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
দর্শনীয় স্থান হিসেবে নায়াগ্রা :
বিশ্বের সবচেয়ে নয়নাভিরাম বিস্ময়কর স্থানগুলোর একটি নায়াগ্রা জলপ্রপাত। এটি প্রকৃতির এক মহাবিস্ময়। তাই এ দর্শনীয় স্থানটি দেখতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমান।
নিচের পানিতে প্রমোদতরীতে চড়ে বেড়ানোসহ বিনোদনের অনেক ব্যবস্থা আছে। প্রপাত থেকে ছড়ানো জলীয়বাষ্পে সূর্যের আলো পড়ে প্রায়ই তৈরি হয় রংধনু। এসব দৃশ্য পর্যটকদের অভিভূত করে।
উপসংহার :
নায়াগ্রা জলপ্রপাত গোটা বিশ্বের অন্যতম বড় প্রাকৃতিক বিস্ময় ও সেরা পর্যটন কেন্দ্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পর্যটকদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান। যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা ভ্রমণে গেলে সবারই উচিত এটি দেখার চেষ্টা করা ।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা