Ads Area

পার্থক্য:উপসর্গ ও অনুসর্গ,প্রত্যয় ও উপসর্গ,অনুসর্গ ও বিভক্তি

উপসর্গ ও অনুসর্গের মধ্যে পার্থক্য, প্রত্যয় ও উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য, এবং অনুসর্গ ও বিভক্তির মধ্যে পার্থক্য খুব সহজ ভাবে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।

উপসর্গ ও অনুসর্গের মধ্যে পার্থক্য

উপসর্গ অনুসর্গ
১। যে সকল বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পূর্বে বসে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে তাদেরকে উপসর্গ বলে। ১। যে সকল অব্যয়সূচক শব্দ বা শব্দাংশ বিশেষ বা সর্বনাম পদের পর যুক্ত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে তাদেরকে অনুসর্গ বলে।
২। উপসর্গ কোন শব্দ নয়, শব্দের অংশ মাত্র । ২। অনুসর্গ অর্থযুক্ত শব্দ ।
৩। উপসর্গ তিন প্রকার । ৩। অনুসর্গ দুই প্রকার ।
৪। উপসর্গের নিজস্ব কোন অর্থ নেই। ৪। অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।
৫। উপসর্গ বিভক্তির ন্যায় কাজ করতে পারে না । ৫। অনুসর্গ বিভক্তির ন্যায় ব্যবহৃত হতে পারে ।
৬। উপসর্গ স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না । ৬। অনুসর্গ স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় ।
৭। উপসর্গ শব্দের পূর্বে বসে। ৭। অনুসর্গ শব্দের পরে বসে ।
৮। উপসর্গের উদাহরণ : পরা, নি, অব, অনু, নির ইত্যাদি। ৮। অনুসর্গের উদাহরণ : প্রতি, বিনা, দ্বারা, দিয়া ইত্যাদি ।

প্রত্যয় ও উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য

প্রত্যয় উপসর্গ
১। প্রকৃতির সাথে যেসব স্বরবর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাদেরকে প্রত্যয় বলে। ১। ধাতুর পূর্বে যেসব অব্যয়জাতীয় শব্দাংশ যুক্ত হয় তাদেরকে উপসর্গ বলে ।
২। প্রত্যয় ধাতু ও শব্দ উভয়ের পূর্বে বসে । ২। উপসর্গ ধাতুর পূর্বে বসে।
৩। প্রত্যয় অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি । ৩। উপসর্গ অর্থ শব্দাংশ।
৪। প্রত্যয় দু'প্রকার, যথা- কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয় । ৪। উপসর্গ তিন প্রকার, যথা- খাঁটি বাংলা, তৎসম বা সংস্কৃত ও বিদেশি।
উদাহরণ : কাঁদ + অন = কাঁদন, এখানে ‘অন' হলো প্রত্যয়। উদাহরণ : অ + কাজ = অকাজ এখানে ‘অ’ হলো উপসর্গ ।

অনুসর্গ ও বিভক্তির মধ্যে পার্থক্য :

অনুসর্গ বিভক্তি
১। যেসব অব্যয়বাচক শব্দ বিশেষ্য বা সর্বনামের পরে বসে কারক ও বিভক্তি সূচিত করে তাদেরকে অনুসর্গ বলে । ১। বাক্যের অন্তর্গত শব্দের শেষে যেসব বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ বসে বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের সম্বন্ধ নির্ণয় করে তাকে বিভক্তি বলে ।
২। অনুসর্গ অব্যয় চিহ্নমাত্র নয়। এর অর্থও আছে। যেমন- হতে, বিনা, ইত্যাদি । ২। বিভক্তির নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। যেমন- র, এর, তে ইত্যাদি।
৩। অনুসর্গ মিশে যায় না, বরং স্বতন্ত্র থাকে । ৩। বিভক্তি পদের সাথে মিশে যায় ।
৪। অনুসর্গ অনেকগুলো। যথা- হতে, থেকে, চেয়ে, বিনা ইত্যাদি বহু অনুসর্গ আছে। ৪। বিভক্তি সাত প্রকার। যথা- ১মা, ২য়া, ৩য়া, ৪র্থী, ৫মী, ৬ষ্ঠী ও ৭মী।
৫। অনুসর্গ একটি অব্যয়, তবে বিভক্তির মতো কাজ চালায়। ৫। বিভক্তির নিজস্ব পরিচিতি হলো বিভক্তি।
৬। অনুসর্গ শব্দের পরে আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়। ৬। বিভক্তি শব্দ বা ধাতুর সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়।
৭। অনুসর্গের কোনো প্রকারভেদ নেই। ৭। বিভক্তির প্রকারভেদ আছে।
উদাহরণ : হতে, চেয়ে, বিনা ইত্যাদি উদাহরণ : কে, রে, এ, য় ই ত্যাদি

Post a Comment

0 Comments