নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন

গণশিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তোমার এলাকায় একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখ।

তারিখ : ০৯/০২/২০…ইং
বরাবর
জেলা প্রশাসক
বরিশাল।
বিষয় : নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আবেদন ৷

জনাব,
সম্মানপূর্বক নিবেদন এই যে, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন দুধল একটি জনবহুল গ্রাম। এই গ্রামের লোকসংখ্যা পাঁচ ছয় হাজার। আশপাশের অনেক গ্রামের তুলনায় এ গ্রামটি সবদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে নিরক্ষরতা অন্যতম। গ্রামের ৬০ শতাংশ মানুষই নিরক্ষর। গ্রামের কৃষিব্যবস্থা মধ্যযুগীয়। শুধু কৃষিক্ষেত্রেই নয়, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, খাদ্য-পুষ্টি, পরিবার-পরিকল্পনা ইত্যাদি সম্পর্কেও তারা খুবই অসচেতন। নিরক্ষরতার অভিশাপে গ্রামের লোকজন জীবনের পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে। কিন্তু বয়স্কদের শিক্ষা দেয়ার জন্য এ গ্রামে কোনো নৈশ বিদ্যালয় নেই। তাই অনতিবিলম্বে এখানে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। নিরক্ষরতা দূর করা সম্ভব হলে কৃষি, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেদের উদ্যোগেই গ্রামবাসী করতে সক্ষম হবে।

অতএব, এসবের প্রেক্ষিতে অনুগ্রহপূর্বক, আমাদের গ্রামের মাদরাসার পাশে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনে আপনার মর্জি হয় ।

নিবেদক
মোঃ আশরাফ আলী
দুধল গ্রামবাসীর পক্ষে

আরও দেখুন: রাস্তা নির্মাণ/সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পত্র

মনে কর, তোমার এলাকায় অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যপীড়িত এবং অশিক্ষিত। এমতাবস্থায় গণশিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি দরখাস্ত লেখ।

তারিখ : ১২/০৬/২০২..ইং
বরাবর
জেলা শিক্ষা অফিসার
মির্জাপুর, যশোর।
বিষয় : নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আবেদন ।

জনাব,
আমরা যশোর জেলার অন্তর্গত বাঘারপাড়া থানার নলডাঙ্গা গ্রামের স্থায়ী অধিবাসী। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ফলে গ্রামের অধিকাংশ অশিক্ষিত মানুষ ভ্যান, রিকশা, কলকারখানা, কৃষিসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত দারিদ্র্যপীড়িত অধিকাংশ মানুষ সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কাজে মনোনিবেশ করে। জ্ঞানের অভাবে কর্মক্ষেত্র থেকে যথাযথ পারিশ্রমিক বুঝে নিতে তারা ব্যর্থ হয় এবং অনেকাংশেই প্রতারণার শিকার হয়। দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে অল্প বয়সে মাতাপিতা তাদের সন্তানকে কাজে লাগিয়ে দেয়। এভাবে কালের ধারাবাহিকতায় গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে অশিক্ষার আঁধারে ঘিরে ফেলেছে। কিন্তু অশিক্ষায় আবদ্ধ মানুষের মধ্যে অনেক পরে হলেও সচেতনতার সৃষ্টি হচ্ছে। তারা আজ বুঝতে পারছে, অজ্ঞতার মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষার অভাব। এজন্য তাদের মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে।

অতএব, জনাবের নিকট সবিনয় নিবেদন গ্রামের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে অশিক্ষার ‘আঁধার’ থেকে আলোর পথে উত্তরণের লক্ষ্যে সমস্ত দিনের কাজকর্ম শেষে রাতের বেলা শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টিতে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন।

বিনীত
এলাকাবাসীর পক্ষে
মো. হাসিবুল হাসান

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!