সূচনা :
বাঙালির জাতীয় জীবনে ১৬ ডিসেম্বর এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। এ দিনটি আমাদের বিজয় দিবস। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এ দিনটিতেই আমরা বিজয় অর্জন করি।
ঐতিহাসিক পটভূমি :
প্রায় দুইশ বছর ব্রিটিশ শাসনের পর ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হয়। গঠিত হয় ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র। পাকিস্তানি শাসকরা পূর্বাঞ্চলের বাঙালিদের সঙ্গে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করতে শুরু করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয় পেলেও পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে গড়িমসি শুরু করে।
মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা :
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায়। মধ্যরাতের পর তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে । তবে গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন :- স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ , ২০০ শব্দ এবং ৫০০ শব্দ
এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিবাহিনী রুখে দাঁড়িয়ে গণহত্যাকারী পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিহত করতে থাকে । প্রতিবেশী ভারত অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করে । অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। জয় হয় বাঙালির। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ ।
বিজয় দিবস উদযাপন :
বাংলাদেশের মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মর্যাদার সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করে। এ দিন সরকারি ছুটি থাকে। শহরের রাস্তাঘাট ও বড় ভবনগুলো সুন্দর করে সাজানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও এদিন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আমাদের করণীয় :
অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের পর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই বিজয় দিবস আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমরা এদিন উদ্যাপনের পাশাপাশি শহিদদের ত্যাগের প্রতি সম্মান জানাব।
উপসংহার :
ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ বিজয় আমাদের কাছে খুবই গৌরব ও সম্মানের।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা