মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য - রচনা ২০০ শব্দের । এবং class 3, 4, 5

মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য রচনা - ১

সূচনা : 

জগতে মাতাপিতার মতো আপনজন আর কেউ নেই। শৈশবকালে একমাত্র মাতাপিতার আদর- যত্নেই সকল সন্তান লালিত-পালিত হয়। তাই মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও কর্তব্য পরায়ন হওয়া আমাদের সকলের উচিত ও কর্তব্য। ইসলাম ধর্মে আছে, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”। 

মাতাপিতার স্নেহ : 

মাতাপিতার অপরিসীম স্নেহ-যত্নে লালিত-পালিত হয়ে আমরা বড় হই। মাতা সন্তানকে গর্ভধারণ করেন এবং আহার নিদ্রা ভুলে সন্তানের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্রতী হন। 

রোগশোকে সন্তানকে দিবা রাত্রি সেবা যত্ন করেন। নিজে না খেয়েও সন্তানকে খাওয়ান। পিতা কঠোর পরিশ্রম করে সন্তানের ভরণ পোষণের জন্য অর্থ উপার্জন করেন।

সন্তানের কর্তব্য : 

মাতাপিতার প্রতি সন্তানের ঋণ কোন রকম প্রতিশোধ করবার নয়। মাতাপিতা সন্তুষ্ট থাকলে আল্লাহও সন্তুষ্ট থাকেন। সুতরাং তাঁদেরকে খুশি করাই আমাদের কর্তব্য। মাতাপিতার উপদেশ মেনে চলা, বাধ্যগত হওয়া এবং তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করা প্রত্যেক সন্তানের কর্তব্য।

আরও পড়ুন : মহানবী সাঃ এর জীবনী - রচনা ১০০, ২০০ ও ৩০০ শব্দ - PDF

উপসংহার : 

পৃথিবীতে যে সকল মহাপুরুষগণ যুগে যুগে খ্যাতি অর্জন করে গিয়েছেন, তাঁদের সকলেই মাতাপিতার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তির গল্প আমরা সকলেই জানি।

মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য রচনা - ২

সূচনা : 

পৃথিবীতে আপনজনদের মধ্যে পিতামাতাই সর্বশ্রেষ্ঠ। পিতামাতা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে লালনপালন করেন । তাই তাঁদের প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য রয়েছে।

সন্তানের প্রতি পিতামাতার অবদান : 

জন্মের পর থেকেই পিতামাতা আমাদের লালনপালনের জন্য নিজেদের সুখ-শান্তি ত্যাগ করেন। পিতামাতাই আমাদের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। সন্তানের মঙ্গলের জন্য তাঁরা প্রয়োজনে সবকিছু বিসর্জন দিতে রাজি থাকেন। পিতামাতার কাছে তাই আমরা চিরঋণী। পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মেই পিতামাতাকে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত।'

পিতামাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য : 

যে পিতামাতা এত কষ্ট সহ্য করে আমাদের বড় করে তুলেছেন তাঁদের প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য রয়েছে। তাঁদেরকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সবসময় তাঁদের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। পিতামাতার সেবা করা পরম ধর্ম। 

তাঁরা বৃদ্ধ বা অসুস্থ হলে সন্তানের উচিত তাঁদের দেখাশোনা করা। ছোটবেলায় পিতামাতা যেমন করে আমাদের লালনপালন করেছেন আমাদেরও উচিত এসময় ঠিক তেমনি করে তাঁদের যত্ন নেওয়া । কখনোই তাঁদের মনে কষ্ট দেওয়া উচিত নয় ।

আরও পড়ুন : বাংলা প্রবন্ধ রচনা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - ২০০ শব্দের

কর্তব্য পালনের ফল : 

পিতামাতাকে দুঃখ না দিয়ে তাঁদের আদেশ- উপদেশ মেনে চললে সন্তানরা জীবনে সফল হয়। দেখা যায় যারা জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তারা প্রত্যেকেই পিতামাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

উপসংহার : 

পিতামাতা আমাদের পরম শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁরাই আমাদের সবচেয়ে বেশি স্নেহ করেন। আমাদের ভালো রাখার জন্য তাঁদের চেষ্টার শেষ নেই। তাই পিতামাতার প্রতি কর্তব্য পালনে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়।

Post a Comment

0 Comments