সূচনা:
বাংলাদেশ ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ। ঋতুচক্রের পালায় বছরের শেষদিকে কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশা নিয়ে আসে শীত ।
শীতের সকালের প্রকৃতি:
শীতের সকাল থাকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা। কুয়াশার আবরণ সরিয়ে রোদের দেখা মিলতে সময় লাগে ৷ বাইরের কনকনে শীতের জন্য লেপের আরাম ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা হয় না। পথে মানুষের চলাচল থাকে কম ।
শীতের সকালে গ্রামগঞ্জ:
তীব্র শীত উপেক্ষা করে খুব সকালেই গ্রামের মানুষ মাঠের কাজে যায়। বধূরা খুব ভোরে উঠে ঘরকন্নার কাজ শুরু করে। গাছিরা খেজুর গাছ থেকে নামায় রসের হাড়ি। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের দল মজা করে খেজুরের রস খায়।
অনেকে রোদ না ওঠা পর্যন্ত আগুন পোহায়। বাগান আলো করে ফোটে গাঁদা, কলাবতী, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা। বনে, পথে ও মাঠে দেখা যায় পলাশ, শিমুলের মত চোখ জুড়ানো ফুল ।
আরও পড়ুন :- শীতকাল - রচনা Class 3, 4, 5
শীতের সকালে শহর:
জীবনের প্রয়োজনে ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই শুরু হয় শহরের শীতের সকাল । তবে সকালের প্রথম দিকে পথে ভিড় কম থাকে । ঘন কুয়াশা থাকলে গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলে। রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে জমে ওঠে ভিড় শীতবস্ত্রের অভাবে শহরের ফুটপাত ও বস্তির গরিব-দুঃখী মানুষেরা খুবই কষ্ট পায় ।
শীতের পিঠা-পায়েস:
শহরের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে পিঠার আয়োজনের চল খুব কম। শখ করে কোন কোন গৃহিণী পিঠা বানান। তবে অনেক বাড়িতেই গ্রাম থেকে পিঠাপুলি আসে। এ ছাড়া ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে দামি রেস্তোরাঁয় মেলে ভাপা, চিতই, পুলি, পাটিসাপটা ইত্যাদি মজাদার পিঠা। এতে করে শহরের মানুষও সকালের নাশতায় শীতের পিঠার স্বাদ নিতে পারেন।
উপসংহার:
সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়তেই ধীরে ধীরে কেটে যায় শীতের সকালের জড়তা। ক্রমে রোদ ছড়িয়ে প্রকৃতির উত্তাপ বাড়তে থাকে। শীতের কামড় জয় করে শুরু হয় কর্মমুখর জীবনের ব্যস্ততা ।