(খাম সহ) ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর কাছে পত্র

 আল্লাহ মেহেরবান 

বিক্রমপুর, ঢাকা
তারিখ : ০৮. ০২. ২৪

প্রিয় সোহেল,

তোমার চিঠি পেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়লাম। কারণটা বুঝেছ নিশ্চয়। কতদিন পরে লিখলে চিন্তা করে দেখ তো-প্ৰায় ছমাস! যাহোক, গত গ্রীষ্মের ছুটিটা কি করে কাটালাম শুনতে চেয়েছ; তবে শোন— আমি গিয়েছিলাম মুর্শিদাবাদ। স্থানটির নাম শুনে তুমি হয়তো বুঝতে পেরেছ–আমি কি উদ্দেশে সেখানে গিয়েছিলাম। এই মুর্শিদাবাদের সাথে বাংলা তথা ভারতীয় উপমহাদেশের স্মৃতি বিজড়িত। এখানেই পলাশির আম্রকাননে এ দেশের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। 

বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং আরো অনেক ইতিহাস প্রসিদ্ধ ব্যক্তির সমাধিক্ষেত্র এই মুর্শিদাবাদ। নবাববাড়ি আজও সেখানে স্মৃতিরক্ষা করছে, তা নিজ চোখে দেখার জন্যই আমার এ ভ্রমণ। উদ্দেশ্যটা আমার বৃথা যায়নি। মুর্শিদাবাদের বহু ছবি নিয়ে এসেছি, নবাবের বাড়ির সম্মুখে দাঁড়িয়ে যে ছবি তুলেছি তার এক কপি তোমার কাছে পাঠালাম।

আশা করি কুশলে আছ। যা হোক, তোমার আব্বা ও আম্মাকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম দিও। তোমার পত্রের অপেক্ষায় থাকব।

ইতি 
তোমারই প্রিয় বন্ধু 
সবুজ



প্রেরক
সবুজ
বিক্রমপুর,
ঢাকা
ডাকটিকেট
প্রাপক 
সোহেল
মাইজদী,
নোয়াখালী

Post a Comment

0 Comments