মূলভাব: লাইব্রেরি হলো জ্ঞানের আধার। কোনো জাতির উন্নয়নে লাইব্রেরির ভূমিকা অসামান্য। কেননা লাইব্রেরির মাধ্যমেই মানুষের মেধা ও মনের বিকাশ সাধন হয়ে থাকে ।
সম্প্রসারিত ভাব: লাইব্রেরি তার সঞ্চিত সম্পদ দিয়ে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধন করে। কেননা এখানে মানুষের চিন্তার অমূল্য সম্পদ জ্ঞান সঞ্চিত থাকে। একটা জাতির মেধা, মনন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ ও লালনের ক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা এককথায় অনস্বীকার্য। লাইব্রেরির মাধ্যমেই মানুষ ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা পেয়ে থাকে। একটা ভালো বই একজন ভালো মানুষ গড়তে বিশেষ অবদান রাখে। বিশ্বস্ত বন্ধুও হতে পারে, নৈতিক অধঃপতন হতেও টেনে তুলে আনতে পারে একটি ভালো বই।
মানুষের একঘেয়ে, ক্লান্ত, হতাশাপীড়িত জীবনে সজীব প্রাণস্পন্দন এনে দেয় লাইব্রেরি, কেননা এর বিচিত্র সংরক্ষণ থেকে পাঠক সহজেই পছন্দ মতো বই খুঁজে নিয়ে মনকে প্রশান্ত করে। লাইব্রেরির সাহায্যে সব শ্রেণির মানুষই উপকৃত হয়। শুধু জ্ঞানী, পণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই নয়, কম লেখাপড়া জানা ও গরিব মানুষের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রেও লাইব্রেরির প্রয়োজন অপরিসীম ।
মন্তব্য: লাইব্রেরিতে মানুষ স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ পায়। তাই শিক্ষা প্রসারের অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা আবশ্যক।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা