সূচনা :
চাঁদ নিয়ে একসময় মানুষের কল্পনা আর কৌতূহলের শেষ ছিল না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের বদৌলতে সেই চাঁদের বুকে পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছে মানুষ ।
অ্যাপোলো অভিযান :
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা চাঁদে অভিযানের জন্য অ্যাপোলো মহাকাশযান তৈরি করে। এ সিরিজের প্রথম অভিযান অ্যাপোলো-৭ মহাশূন্যে উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৬৮ সালে। এর পঞ্চম অভিযানে মানুষের চাঁদে পৌছার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় ।
পঞ্চম অভিযান এ্যাপোলো-১১ :
মানবজাতির ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই এক অবিস্মরণীয় দিন। এদিন তিনজন নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং, এডুইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স চাঁদে পাড়ি দেন।
আরও পড়ুন : রচনা : বাংলাদেশের প্রাণিজগত
২০ জুলাই মহাকাশযানের ছোট অংশটি চাঁদে অবতরণ করে। এরপর নীল আর্মস্ট্রং প্রথম চাঁদের মাটিতে পা রাখেন। তারপর অলড্রিন চাঁদের বুকে নামেন । মাইকেল কলিন্স মূলযান থেকে তাঁদের অবতরণ নিয়ন্ত্রণ করেন। আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন চাঁদের মাটি থেকে শিলা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন। পৃথিবীর মানুষ টেলিভিশনের মাধ্যমে এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় ।
১৯৬৯ সালের পরও চাঁদে মানুষসহ ও মানুষ ছাড়া আরও কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নমুনা, তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব তথ্য চাঁদ, পৃথিবী তথা মহাবিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব পেতে সাহায্য করেছে। চীন, ভারতসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ চাঁদে অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে ।
উপসংহার :
ভবিষ্যতে চাঁদে মহাকাশকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তা করা সম্ভব হলে গবেষণা করে চাঁদ ও মহাবিশ্বের রহস্য সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা