বাংলা রচনা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল

সূচনা : 

দেশের বহুল প্রত্যাশিত মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অন্যতম। এটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। এই টানেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সঙ্গে আনোয়ারার সংযোগ সাধন করেছে।

কর্ণফুলি নদীতে টানেলের প্রয়োজনীয়তা : 

কর্ণফুলি নদী চট্টগ্রামকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। এই নদীর ওপর তিনটি সেতু রয়েছে। কাছেই সমুদ্রবন্দর হওয়ায় এসব সেতুতে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। তা ছাড়া প্রচুর পলিমাটি জমার কারণে এই নদীতে নতুন করে সেতু নির্মাণ নদীর জন্য ক্ষতিকর। তাই নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ করলে এসব সমস্যার সমাধান হবে। তা ছাড়া এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈশ্বিক যোগাযোগেও ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ।

প্রকল্প বর্ণনা : 

টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা ২ শতাংশ সুদহারে দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ পেয়েছে।

আরও পড়ুন : রচনা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - ২০০ শব্দের

টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। টানেলে থাকবে ১০ দশমিক ৮০ মিটার ব্যাসের দুটি টিউব। একমুখী চলাচল উপযোগী প্রতিটি টিউবে দুই লেনের সড়ক থাকবে ।

অর্থনৈতিক প্রভাব : 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মাধ্যমে বৈশ্বিক যোগাযোগে যুক্ত হওয়ায় দেশের সড়ক ব্যবস্থায় উন্নয়ন সাধিত হবে। এছাড়া কর্ণফুলি নদীর পূর্ব পাশে স্থাপিত শিল্প এলাকায় শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাবে। এতে শিল্পোন্নয়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। বন্দর থেকে শিল্পের কাঁচামাল পরিবহণ সহজ হবে এই টানেলের মাধ্যমে।

উপসংহার : 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় এক মাইলফলক। শিল্পোন্নয়ন, পর্যটনশিল্পের বিকাশ এবং সহজ যোগাযোগব্যবস্থায় এই টানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad