সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য – ১০ টি
সাধু ভাষা |
চলিত ভাষা |
---|---|
১। বাংলা ভাষার সর্বজনীন লেখ্য রূপটি সাধু ভাষা হিসেবে পরিচিত। |
১। বাংলা ভাষার সর্বজনীন কথ্য রূপটি চলিত ভাষা হিসেবে পরিচিত। |
২। সাধু ভাষা সর্বদা ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে। | ২। চলিত ভাষা সর্বদা ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে না। |
৩। সাধু ভাষার গতি সাবলীল সহজবোধ্য নয় । |
৩। চলিত ভাষার গতি সাবলীল ও সহজবোধ্য। |
৪। সাধু ভাষা আভিজাত্য ও গাম্ভীর্যের অধিকারী। |
৪। চলিত ভাষা আভিজাত্যহীন ও গাম্ভীর্যের অধিকারী নয় । |
৫। সাধু ভাষার গঠন-কাঠামো স্থিতিশীল । |
৫। চলিত ভাষার গঠন-কাঠামো পরিবর্তনশীল । |
৬। সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি। |
৬। চলিত ভাষার তৎসম শব্দের ব্যবহার নেই বললেই চলে । |
৭। সাধু ভাষায় দেশি ও বিদেশি শব্দের ব্যবহার কম । |
৭। চলিত ভাষায় দেশি ও বিদেশি শব্দের ব্যবহার বেশি। |
৮। সাধু ভাষায় কথ্য বা আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব খুবই কম। |
৮। চলিত ভাষায় কথ্য বা আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব খুবই বেশি। |
৯। সাধু ভাষায় ক্রিয়া পদগুলো পূর্ণরূপে বসে । |
৯। চলিত ভাষায় ক্রিয়া পদগুলো সংক্ষিপ্তরূপে বসে। |
১০। সাধু ভাষায় সর্বনাম পদগুলো পূর্ণরূপে বসে। |
১০। চলিত ভাষায় সর্বনাম পদগুলো সংক্ষিপ্তরূপে বসে। |
আরও পড়ুন :- সাধু, চলিত ও আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে? এদের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ
সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য – ২০টি
সাধু ভাষা | চলিত ভাষা |
---|---|
১। বাংলা ভাষার সাহিত্যিক রূপকে সাধু ভাষা বলা হয় । | ১। বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহৃত বা মৌখিক ভাষাকে চলিত ভাষা বলে । |
২। সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের প্রাচীন পূর্ণাঙ্গ রূপটি বজায় আছে ৷ |
২। চলিত ভাষায় উচ্চারণগত ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে সংক্ষিপ্ত রূপটি গৃহীত হয়েছে। |
৩। সাধু ভাষায় সর্বনাম পদের প্রাচীন পূর্ণ রূপটি বজায় আছে। |
৩। চলিত ভাষায় সর্বনাম পদের সংক্ষিপ্ত রূপ গৃহীত হয়েছে। |
৪। সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি। |
৪। চলিত ভাষায় তদ্ভব, দেশী-বিদেশী ইত্যাদি শব্দের প্রয়োগ বেশি। |
৫। সাধু ভাষায় সন্ধি-সমাসের আধিক্য লক্ষ্যণীয়। |
৫। চলিত ভাষায় সন্ধি-সমাস বর্জনীয় বা সেগুলোকে ভেঙ্গে সহজ করা হয়। |
৬। সাধু ভাষায় পদ বিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্ধারিত। |
৬। চলিত ভাষার পদ বিন্যাস সুনির্দিষ্ট ও সুনির্ধারিত নয়। |
৭। সাধু ভাষায় বহু ভাষণ প্রশংসিত । |
৭। চলিত ভাষায় মিশ্র ভাষণ সমাদৃত । |
৮। সাধু ভাষায় কর্মবাচ্যের ব্যবহার প্রচলিত । |
৮। চলিত ভাষায় সংস্কৃতানুসারী এ কর্মবাচ্যের ব্যবহার একেবারেই অচল। |
৯। সাধু রীতিতে অনুসর্গ- জন্য, হইতে, দ্বারা ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। |
৯। চলিত রীতিতে— জন্যে, হতে, দিয়ে ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। |
১০। সাধু ভাষা সুনির্ধারিত ও ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে। |
১০। চলিত ভাষা অনির্ধারিত ও ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে না। |
১১। সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী। |
১১। চলিত ভাষা সহজবোধ্য, কৃত্রিমতা বর্জিত এবং বক্তৃতা-সংলাপের উপযোগী। |
১২। সাধু ভাষার কাঠামো সাধারণত অপরিবর্তনীয় । |
১২। চলিত ভাষার কাঠামো পরিবর্তনশীল । |
১৩। গদ্য, সাহিত্য, চিঠিপত্র ও দলিল লিখনে সাধু ভাষার ব্যবহার অধিক। |
১৩। চলিত ভাষা বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্য সংলাপের জন্যে উপযুক্ত । |
১৪। এ ভাষা কোন অঞ্চল বিশেষের প্রভাবাধীন নয় । |
১৪। চলিত ভাষা আঞ্চলিক প্রভাবাধীন। |
১৫। এটা বেশ প্রাচীন ভাষা। |
১৫। এটা আধুনিক ভাষা। |
১৬। সাধু ভাষা বলতে ও লিখতে সময় বেশি লাগে । |
১৬। চলিত ভাষা বলতে ও লিখতে সময় কম লাগে। |
১৭। সাধু ভাষা নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতায় অনুপযোগী । | ১৭। চলিত ভাষা নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতায় উপযোগী। |
১৮। সাধু ভাষা শ্রুতিকঠোর ও দুর্বোধ্য । |
১৮। চলিত ভাষা শ্রুতিমধুর ও সহজবোধ্য । |
১৯। সাধু ভাষা মনোভাব প্রকাশের জন্যে উপযোগী নয় । |
১৯। চলিত ভাষা মনোভাব প্রকাশের উপযোগী। |
২০। উদাহরণ : তাহারা বাড়ি যাইতেছে। |
২০। উদাহরণ : তারা বাড়ি যাচ্ছে। |