বিশেষণ পদ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি উদাহরণ সহ বিস্তারিত

সংজ্ঞা : যে পদ দ্বারা অন্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি বোঝায়, তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন- হাবিব ভালো ছেলে। এ বাক্যে ‘ভালো’ শব্দটি হাবিবের গুণ প্রকাশ করেছে। তাই এটি বিশেষণ পদ।

বিশেষণ পদের শ্রেণীবিভাগ :

বিশেষণ পদ দুই প্রকার। যথা—
১. নাম বিশেষণ ও
২. ভাব বিশেষণ।

১। নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন— সুন্দরী বালিকা, নীল আকাশ, কাল মেঘ, হতভাগ্য রহিম ইত্যাদি।

নাম বিশেষণের শ্রেণীবিভাগ :

নাম বিশেষণ অনেক প্রকার হয়ে থাকে। যেমন-

  • গুণবাচক : ভাল মেয়ে, সৎলোক ইত্যাদি।
  • সংজ্ঞাবাচক : টাংগাইলের তাঁতের শাড়ি, বাংলার স্বাধীনতা ইত্যাদি ।
  • অবস্থা বাচক : দুর্বল লোক, উড়ন্ত বিমান, খরস্রোতা নদী ইত্যাদি ।
  • সংখ্যাবাচক : পাঁচ টাকা, সাতদিন, বার বছর ইত্যাদি।
  • উপাদান বাচক : রেশমী চুড়ি, মেলামাইনের বাসন পত্র ইত্যাদি।
  • রূপ বাচক : লাল গোলাপ, শ্যামল মাঠ ইত্যাদি ।
  • ক্রম বা পূরণ বাচক : ১৬-ই ডিসেম্বর; দ্বিগুণ জ্বালা ইত্যাদি ।
  • পরিমাণ বাচক : এক কেজি বাটখারা, পাঁচ কিঃ মিঃ পথ ইত্যাদি ।
  • জিজ্ঞাসা বাচক : কি পরিস্থিতি? আর কতদিন? ইত্যাদি ।
  • নির্দিষ্টতা বাচক : স্কুল জীবনের সেই মেয়েটি, এই যে সাহেব ইত্যাদি।

২। ভাব বিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ব্যতীত অন্য পদ বা বাক্যকে বিশেষ করে, তাকে ভাব বিশেষণ বলে। যেমন— দ্রুত চল, জলদি হাঁট ইত্যাদি ।

ভাব বিশেষণের শ্রেণীবিভাগ :

ভাব বিশেষণ চার প্রকার। যথা :
১. ক্রিয়া বিশেষণ।
২. বিশেষণের বিশেষণ।
৩. অব্যয়ের বিশেষণ।
৪. বাক্যের বিশেষণ।

আরও পড়ুন : বিশেষ্য,বিশেষণ পদের উদাহরণ বাক্য। বিশেষ্য থেকে বিশেষণ তালিকা

১। ক্রিয়া বিশেষণ : যে বিশেষণে কোন ক্রিয়া পদকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন -দ্রুত কাজ কর। আস্তে কথা বল । শান্তভাবে আহার কর ইত্যাদি।

২। বিশেষণের বিশেষণ : যে বিশেষণ অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে । যেমন-শেলী অতি মিষ্টি ভাষী, সে বই পড়তে খুব ভালবাসে ইত্যাদি।

বিশেষণীয় বিশেষণ আবার দু প্রকার। যথা :

ক. ক্রিয়া-বিশেষণের বিশেষণ : যে বিশেষণ ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়া-বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন : কচ্ছপ খুব আস্তে চলে। রকেট অতি দ্রুত চলে। সে খুব ভালো ছেলে।

খ. নাম বিশেষণের বিশেষণ : যে বিশেষণ নাম বিশেষণকে বিশেষিত করে তাকে নাম বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন : দোলন অত্যন্ত মার্জিত রুচির ছেলে। সামান্য একটু দুধ দাও। এ ব্যাপারে সে অতিশয় দুঃখিত।

৩। অব্যয়ের বিশেষণ : যে বিশেষণ অব্যয় অথবা অব্যয়ের অর্থকে বিশেষিত করে, তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যেমন-ধিক্ তারে, শত ধিক্ নির্লজ্জ যে জন ।

৪। বাক্যের বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ একটি সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করে তাকে বাক্যের বিশেষণ বলে। যেমন : সৌভাগ্য কমে তার সাথে আবার দেখা হয়ে গেল।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment