পদ কাকে বলে? কত প্রকার কী কী উদাহরণ সহ বিস্তারিত

ব্যাকরণশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পদ। প্রাণীরা যেমন পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, ঠিক তেমনি বাক্যও পদের ওপর নির্ভরশীল। বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি অর্থবোধক শব্দই পদের অন্তর্ভুক্ত। নিচে পদ ও এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

পদ কাকে বলে ?

সংজ্ঞা : বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি অর্থবোধক শব্দকে ‘পদ’ বলে। যেমন- শহিদ ক্রিকেট খেলে। এ বাক্যটিতে ‘শহিদ’, ‘ক্রিকেট’ ও ‘খেলে’ শব্দগুলো এক একটি পদ।

পদ প্রকার কী কী

পদ মোট পাঁচ প্রকার । যথা –

  1. বিশেষ্য।
  2. বিশেষণ।
  3. সর্বনাম।
  4. অব্যয়।
  5. ক্রিয়া।

১। বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্ত, প্রাণী, স্থান, সমষ্টি, কাল, কর্ম বা গুণের নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন—’মুরাদ’ স্কুলে যায় (ব্যক্তি); ‘দুধ’ পুষ্টিকর খাদ্য (বস্তু); ‘বাঘ’ ভয়ংকর প্রাণী (প্রাণী)।

২। বিশেষণ : যে পদ অন্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন- ভালো ছেলে, সুন্দর কলম ইত্যাদি।

৩। সর্বনাম : যে পদ বিশেষ্যের বা নামের পরিবর্তে বসে তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন-তমাল ভালো ছেলে। সে প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠে ও শরীরচর্চা করে। সে প্রতিদিন ঠিকমতো স্কুলে যায়। এখানে তমালের পরিবর্তে সে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং ‘সে’ হলো সর্বনাম পদ। অনুরূপভাবে আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, এই, ইহা, এ, উনি, ওরা, কোন, কিছু, আপনি ইত্যাদি সর্বনাম পদের উদাহরণ।

৪। অব্যয় : যে সকল পদ কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তন হয় না তাদের অব্যয় পদ বলে। যেমন—ও, এবং, কিন্তু, বরং, নচেৎ, উপরন্তু, যেহেতু ইত্যাদি।

৫। ক্রিয়া : যে পদ দ্বারা কোনো কিছু হওয়া, করা, ধরা, খাওয়া, যাওয়া ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন- বীথি স্কুলে যায়। এ বাক্যে যায় শব্দটি ক্রিয়া পদ।

পরিশেষে : বাক্যে ব্যবহৃত শব্দসমূহ কোনো না কোনো পদের অন্তর্ভুক্ত হবে। এজন্য ভাষাকে সঠিকভাবে বোঝার জন্য পদ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment