কার্প জাতীয় মাছের চাষ পদ্ধতি বর্ণনা কর

কার্প জাতীয় মাছের চাষ পদ্ধতি : আদর্শ পুকুরে কার্প জাতীয় মাছ চাষ নির্দিষ্ট কয়েকটা পর্যায়ে বিভক্ত। যথা :

(১) পুকুর প্রস্তুতি, (২) পোনা মাছ সংগ্রহ ও পরিবহন, (৩) পোনা পুকুরে ছাড়া ও পালন, (৪) পালিত মাছের পরিচর্যা এবং (৫) সার প্রয়োগ ও খাদ্য প্রদান ।

আদর্শ পুকুর তৈরি : কয়েকটা ধাপে আদর্শ পুকুর তৈরি করা হয় । যথা-

(ক) প্রয়োজনমত নতুন পুকুর কেটে বা পুরনো পুকুর সংস্কার তৈরি করতে হবে।

(খ) পুকুরে চুন দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে এবং জৈব সার দিয়ে পুকুরকে উর্বর করতে হবে। ফলে প্রচুর প্লাঙ্কটন উৎপাদন হবে।

(গ) পুকুর তৈরি হয়ে গেলে কাঙ্ক্ষিত মাছের পোনা ছাড়তে হবে ।

পোনা সংগ্রহ ও পালন : কার্প জাতীয় মাছের জীবনচক্র পাঁচটি পর্যায়ে বিভক্ত। যথা-

(ক) ডিম, (খ) ডিমপোনা বা রেণু, (গ) ধানীপোনা, (ঘ) চারা পোনা এবং (ঙ) পূর্ণাঙ্গ মাছ ।

আরো পড়ুন : মৎস্য চাষ ও মৎস্য সম্পদ কাকে বলে? মৎস্য চাষের গুরুত্ব কি?

বিভিন্ন পর্যায়ের কার্প জাতীয় মাছ চাষের জন্য পর্যায়ক্রমে তিন ধরনের পুকুর ব্যবহার করা উত্তম । যেমন-

(১) আতুর পুকুর (Nursery pond) : নদী বা মৎস্য খামার থেকে সংগৃহীত পোনা এই পুকুরে ছাড়তে হয়। এ সব পুকুর আয়তনে ছোট এবং গভীরতায় কম থাকে। এখানে পোনা ২০-২২ মিলিমিটার লম্বা হয় । এদেরকে ধানীপোনা বলে । এরপর ধানীপোনাগুলো পালন পুকুরে স্থানান্তরিত করা হয় ।

(২) পালন পুকুর (Rearing pond) : এইসব পুকুর গুলো আঁতুর পুকুর অপেক্ষা বড় ও গভীরতর। এ পুকুরে নিয়মিত খাদ্য এবং সার দিতে হয়। এখানে ৩/৪ মাস থাকার পর ধানীপোনাগুলো বড় হয়ে চারা পোনায় পরিণত হয়। চারাপোনা ১০০- ২৫০ মি.মি. লম্বা হয়। চারা পোনাগুলো সংরক্ষণ বা মজুদ পুকুরে স্থানান্তরিত করা হয় ।

(৩) সংরক্ষণ বা মজুদ পুকুর (Stocking pond) : এ পুকুর আয়তনে বড়। এ পুকুরে অল্পসময়ের মধ্যে বেশি পরিমাণ মাছ বাজারজাত করার উপযোগী হয়। পুকুরে নিয়মিত জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করতে হয় এবং পরিপূরক খাবার দিতে হয় । রেণু পোনা এবং ধানী পোনা পর্যায়ে বিশেষ যত্ন নিতে হয় ।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment