সংক্ষিপ্ত পরিচিতি : প্রাণিদের মধ্যে প্লাটিহেলমিনথিস (Platyhelminthes ) পর্বের প্রাণীরাই প্রথম ত্রিস্তরী প্রাণী (triploblastic animal)। এদের দেহে প্ৰথম টিস্যু- অঙ্গ মাত্রার (tissue-organ grade) গঠন দেখা যায় । এসব প্রাণী পাতার মতো উপর-নিচে চাপা বা ফিতার মতো লম্বা বলে চ্যাপ্টা কৃমি (flat worms) নামে পরিচিত ।
চ্যাপ্টা কৃমিদের অধিকাংশই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিদেহে অন্তঃপরজীবী হিসেবে বাস করে । কিছু কৃমি পানিতে অথবা ভেজা মাটিতে স্বাধীনভাবে অবস্থান করে । অনেক চ্যাপ্টা কৃমি আণুবীক্ষণিক; তবে ৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা চ্যাপ্টা কৃমির কথাও জানা গেছে ।
প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের বৈশিষ্ট্য :
- এরা ত্রিস্তরী বা ট্রিপলোব্লাস্টিক এবং অ্যাসিলোমেট (সিলোম ও দেহগহ্বর বিহীন) ।
- এদের দেহ নরম, লম্বা, পৃষ্ঠীয়-অঙ্কীয় তল বরাবর পাতা বা ফিতার মতো চ্যাপ্টা ।
- রেচনতন্ত্র শিখাকোষ নিয়ে গঠিত ।
- বিভিন্ন অঙ্গের ফাঁকে ফাঁকে প্যারেনকাইমা নামক যোজক কলা বা মেসেনকাইমে পূর্ণ থাকে ।
- অধিকাংশ ক্ষেত্রে এপিডার্মিসটি সিনসাইসিয়াল টেগুমেন্ট জাতীয় ।
আরও জানুন : নিডারিয়া পর্ব: বৈশিষ্ট্য,উদাহরণ,দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয় কেন?
প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের বৈশিষ্ট্য মনে রাখার উপায় :
ত্রিসা আর শিখা পারবে সিন করতে?
প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের উদাহরণ :
| ফিতা কৃমি | Taenia solium |
| যকৃত কৃমি | Fasciola hepatica |
| রক্ত কৃমি | Schistosoma mansoni |
| চ্যাপ্টা কৃমি | Bipalium kewense |
| স্যালমন কৃমি | Gyrodactylus corti |
প্লাটিহেলমিনথেস আবাস্থল :
বাসস্থান : এ পর্বের অধিকাংশ প্রাণী মুক্তভাবে স্বাদুপানিতে বা লবণাক্ত পানিতে বসবাস করে।
স্বভাব : এ পর্বের বহু প্রাণী প্রধানত বহিঃ বা অন্তঃপরজীবী হিসেবে অন্য জীবের দেহে বসবাস করে।

