আল্লাহু আকবার
প্রিয় নিতু,
ভালোবাসা নিস। কিছুদিন আগেই তোর চিঠি পেয়েছি। কিছুদিন ধরে লিখব লিখব করেও লেখা হচ্ছে না। কারণ গত সাতদিন ধরে আমাদের স্কুলের বিজ্ঞান মেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম । আজ তোকে আমাদের স্কুলের বিজ্ঞান মেলার আনন্দঘন দিনগুলোর কথা লিখছি।
বিজ্ঞান মেলার জন্যে স্কুলের সবগুলো ভবন ও মাঠ নানা সাজে সজ্জিত করা হয়েছিল। স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান প্যাকেজ প্রদর্শনী এবং মিলনায়তনে হয়েছে আলোচনা, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তুই যদি এসে দেখতিস তোরও খুব ভালো লাগত। আমরা দুজনে মিলে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারতাম। মেলায় আমিও একটি প্রজেক্টের প্রদর্শনী দিয়েছিলাম, কৃত্রিম উপায়ে জমিতে সেচ দেওয়া।
দর্শনাথীরা খুব প্রশংসা করেছে। শেষ দিনে হয়েছে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন। আমি বিতর্ক ও প্রজেক্টে পুরস্কার পেয়েছি। আগামী মেলায় তোকে আসতে হবে। আমরা দুজনে মিলে মেলা উপভোগ করব। তোর লেখার প্রত্যাশায় রইলাম ।
প্রেরক নাম - বীণা গ্রাম - বানাওয়া জেলা - খুলনা । |
ডাকটিকেট প্রাপক নাম - নিতু গ্রাম - চান্দশী ডাক ঘর- রসুলপুর জেলা - রংপুর |
আরও পড়ুন :- বাবার কাছে টাকা চেয়ে অথবা বই কেনার টাকা চেয়ে পত্র লিখন [২টি ]
এই পত্রের অন্য আর একটি প্রতিলিপন
আল্লাহু আকবার
প্রিয় সেতু,
প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। অনেকদিন পর তোমার একখানা পত্র পেলাম । পত্রে তুমি অভিযোগ করে দীর্ঘদিন আমার নীরব থাকার কারণ জানতে চেয়েছ।
মাদ্রাসায় জাতীয় বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। বহিরাগতদের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকটার প্রতি আমাদের বিশেষ লক্ষ্য ছিল। কারণ, বহিরাগতদের কোনরূপ অসুবিধা হলে আমাদেরই দুর্নাম হত। তাই সার্বিক ব্যবস্থাপনার ভারটা আমার কাঁধেই পড়ে। তদুপরি, আমিও এতে অংশগ্রহণ করেছিলাম তাই একটি সুন্দর জিনিস তৈরির কাজে সদা নিয়োজিত ছিলাম।
সত্য বলতে কি, বিজ্ঞান মেলা যে এত মনোরম হতে পারে তা আমার কল্পনাতীত ছিল। ক্ষুদে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের তৈরি নানা প্রকার উপাত্ত নিয়ে হাজির হয়েছিল এ বিজ্ঞান মেলায়। তারা এনেছিল বায়োগ্যাসের কার্যকারিতা ও সৌরচুল্লির রন্ধন প্রক্রিয়া, আরও কত কি! আমাদের মাদ্রাসার ছেলেরা মার্কোনির বেতার যন্ত্রের ধরা পড়ে। এটি দর্শকদের সত্যিই মুগ্ধ করেছিলে। এ বিজ্ঞান মেলার একটি দশ্য সত্যিই মনে রাখার মত। সেটি হলো একটি প্রসাধানী তৈরি স্টল। সেখানে স্নো, পাউডার তৈরি হচ্ছিল।
সেখানে মহিলা দর্শকদের প্রচুর সমাগম হয়। তাদের দাপটে আর কেউ সেখানে ভিড়বার সাহস পাচ্ছিল না। মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্টলটিতে ছিল কম্পিউটার প্রযুক্তির বিস্ময়কর উপস্থিতি। কম্পিউটার কিভাবে পৃথিবীর সমস্ত কাজ করে তা বুঝিয়ে দিচ্ছিল আমাদের এক ক্ষুদে কম্পিউটার বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের সর্বশেষ অবদান কম্পিউটার-এর কার্যক্রম দেখে সকলে অভিভূত হয়ে পড়েছিল।
যাক, আর সময় নষ্ট করব না। বিজ্ঞান মেলার ক'টা দিন আমাদের বেশ কেটেছিল। এবার নিশ্চয়ই আমার নীরবতার কারণ বুঝেছ। তুমি
পড়াশুনায় খুব ব্যস্ত, তাই না? আজ তবে এখানেই থাক। উত্তর দানে সুখী করবে।
প্রেরক নাম - লাভলী বানাওয়া কুমিল্লা । |
ডাকটিকেট প্রাপক নাম - সেতু গ্রাম - চান্দশী ডাক ঘর- রসুলপুর জেলা - রংপুর |