রচনা: আমার জীবনের লক্ষ্য- শিক্ষক/ডাক্তার [class 2, 3, 4, 5 ]

আমার জীবনের লক্ষ্য – শিক্ষক 

সূচনা : 

মানুষের জীবন ছোট কিন্তু তার কর্মক্ষেত্র অনেক বড়। এ ‘কারণে মানবজীবন ও কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রত্যেক মানুষকে জীবনের শুরুর দিকেই সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয় । 

লক্ষ্য নির্ধারণ : 

ছাত্র অবস্থায়ই অভিভাবকের সহায়তায় সঠিক চিন্তা ভাবনা করে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। এর পর তা বাস্তবায়নের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

আমার জীবনের লক্ষ্য : 

আমি এখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আমি চাই লেখাপড়া শিখে একজন শিক্ষক হতে। এ মহান পেশায় ব্রতী হয়ে আমি দেশের সেবা করতে চাই ।

আরও পড়ুন : মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য – রচনা ২০০ শব্দের । এবং class 3, 4, 5

কেন শিক্ষক হব : 

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। শিক্ষার বলেই মানুষ কুসংস্কার ও অজ্ঞানতা থেকে মুক্ত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করতে পারে। আমি গ্রামাঞ্চলের অনগ্রসর মানুষকে যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। তাহলেই তারা সমাজ ও দেশের মঙ্গলের জন্য কী করা উচিত তা বুঝতে পারবে।

 
আমি শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি গ্রামের নিরক্ষর চাষিদের আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদ সম্পর্কে বাস্তব শিক্ষা দেব। এতে আমাদের জমির ফলন বাড়বে। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কেও গ্রামবাসীকে সচেতন করতে চাই। এতে গ্রামের সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

উপসংহার : 

দেশ ও জাতির সেবা আমার জীবনের লক্ষ্য, আমার স্বপ্ন । তাই আমি একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে গ্রামের গরিব-দুঃখী মানুষের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করতে চাই।

আমার জীবনের লক্ষ্য – ডাক্তার 

 

উপস্থাপনা :

আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন একটি লক্ষ্য নিয়ে। লক্ষ্য ছাড়া কোনো কাজের সফলতা আশা করা যায় না । তাই আমাদের জীবনকে সুন্দর ও সফল করতে হলে প্রথমেই একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা প্রয়োজন। কেননা লক্ষ্যহীন জীবনের কোনো সার্থকতা নেই ।

আমার ভাবনা :

আমার কিশোর মনে ইচ্ছা জাগে বৈমানিক, বৈজ্ঞানিক, ডাক্তার বা চিকিৎসক হওয়ার। সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে আমি পরিশেষে মানবসেবক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জীবনের লক্ষ্য মানবসেবার পেশার মধ্য থেকে অবশেষে আমি চিকিৎসা পেশাকে বেছে নিয়েছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভবিষ্যতে বড় ডাক্তার হওয়ার ।

ডাক্তার হওয়ার কারণ : 

আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ দারিদ্র্য, অনাহার ও রোগে-শোকে জর্জরিত। অর্থাভাব ও উন্নত চিকিৎসার অভাবে এদেশের লাখ লাখ মানুষ রোগে-শোকে প্রতিবছর প্রাণ হারায়। তাই তাদের বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে আমি ডাক্তার হয়ে তাদের সেবা করার মহান ব্রত গ্রহণ করেছি। 

Advertisement Advertisement

প্রস্তুতি :

একজন ভালো ডাক্তার হওয়ার পূর্বেই আমি নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে চাই। সেজন্য আমি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে এম.বি.বি.এস পাস করব ইনশাআল্লাহ। তারপর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হওয়ার জন্য উচ্চতর শিক্ষা ও ডিগ্রি অর্জনের চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন :- আমার প্রিয় শিক্ষক – রচনা for class 1, 2, 3, 4, 5

আমার কর্মপদ্ধতি : 

ডাক্তারি ডিগ্রি লাভের পর আমার কর্মজীবন শুরু করব। আমি সরকারি চাকরি না নিয়ে গ্রামে গিয়ে ডাক্তারি করব। কেননা গ্রামে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে অনেক মানুষ অকালে মারা যায়। প্রয়োজনে বিনা ফি’তে আমি গরিব রোগীদের সেবা করব। 

তাদেরকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলব এবং সরকারি সহায়তায় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করব। পাশাপাশি দেশের নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনসহ সমাজকল্যাণ ও দেশ সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাব ।

উপসংহার :

শুধুই অর্থোপার্জন নয়; দরিদ্র জনগণের সেবাই হবে আমার উদ্দেশ্য। তাই সবদিক চিন্তা করে আমি একজন ডাক্তার হতে চাই। আর এটাই আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment

Advertisement Advertisement
error: Content is protected !!