ভূমিকা :
জ্ঞানার্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। বই পাঠের মাধ্যমে বিনোদনও পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মানুষই কমবেশি বই পড়তে ভালোবাসে। এর মধ্যে কোনো একটি বই বিশেষভাবে ভালো লাগে।
আমার প্রিয় বই :
অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'রামের সুমতি' আমার প্রিয় বই।
আমার ভালোলাগার কারণ :
বহু বিখ্যাত বই থাকতে আমার 'রামের সুমতি' ভালো লাগার কারণ হলো 'রাম' চরিত্রটি। শরৎচন্দ্রের 'রামের সুমতি' বইয়ের কাহিনিতে কমবয়সি রামের দুষ্টু বুদ্ধির নানারকম চিত্র পাওয়া যায়। এটি আমার বয়সি একটি শিশুর কাছে চিত্তাকর্ষক বৈকি ।
মা-বাবা হারা রাম বৌদির স্নেহে বেড়ে উঠেছিল। সেই বৌদির অসুখের সময় নীলমণি ডাক্তার আসতে না চাইলে রাম তাকে আমবাগান নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এতে ডাক্তার আসতে বাধ্য হন। পুরোটা বই জুড়ে রাম এ ধরনের কাণ্ড করেছে। রাম কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল নয়, অত্যাচারীকে শায়েস্তা করার জন্যই সে এসব করে। নীলমণি ডাক্তার কিপটে, অত্যাচারী ও ফাঁকিবাজ হিসেবেই গ্রামে কুখ্যাত ছিল।
আরও পড়ুন :- আমার প্রিয় শিক্ষক - রচনা for class 1, 2, 3, 4, 5
রামের বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগে । আমার নিজের তা করার শক্তি বা সাহস নেই। এ জন্যই রাম চরিত্রটির প্রতি আমার একটি বিশেষ আকর্ষণ আছে। তাই এ বইটি আমার কাছে এত প্রিয় ।
শিক্ষণীয় বিষয় :
'রামের সুমতি' বইটি থেকে আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিষয়টি শিখতে পেরেছি। এ ছাড়া মানবিকতা প্রদর্শন এবং বুদ্ধি খাটিয়ে সমস্যা সমাধানের শিক্ষাও এখানে পাই ।
উপসংহার :
'রামের সুমতি' পড়তে বসলে একেবারে শেষ না করে ওঠা যায় না। এ বইটি একাধারে শিক্ষা ও আনন্দের দারুণ উৎস। 'রামের সুমতি' পড়ে আমি সত্যিই অপরিসীম আনন্দ পেয়েছি।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা