উপস্থাপনা :
বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের ফল জন্মে। এখানে বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন ফলের উৎপাদন বেশি দেখা যায়। কাঁঠাল আমাদের অর্থকরী ফলের মধ্যে একটি। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল হিসেবেও নির্বাচিত ।
আকৃতি ও উৎপত্তিস্থান :
কাঁঠাল আকৃতিতে সব ফলের চেয়ে বড়। পাঁচ কেজি থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত কাঁঠালের ওজন হতে দেখা যায়। কাঁঠালের গায়ে ছোট ছোট কাঁটার মত দাগ। এর রং সাধারণত হলদে। তবে ঈষৎ কালচে কিংবা মেটে রং-এরও হয়ে থাকে। কাঁঠাল উঁচু জমির ফল। যেখানে বর্ষার পানি উঠে না, তেমন জায়গায়ই কেবল কাঁঠাল গাছ জন্মে। বাংলাদেশের লালমাটির পাহাড়িয়া এলাকা কাঁঠাল উৎপাদনের জন্যে প্রসিদ্ধ ।
মৌসুম :
ফাল্গুন মাসের দিকে কাঁঠালের মুচি বের হয়। কাঁঠালের পুরো মৌসুম হলো বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রচুর কাঁঠাল দেখা যায়।
আরও পড়ুন :- বাংলাদেশের জাতীয় মাছ - ইলিশ রচনা : Class 3, 4, 5
ব্যবহার:
কাঁঠালের ব্যবহার ও উপকারিতা বহুমুখী। কাঁঠালের কোন অংশই ফেলনা নয়। কাঁঠালের কোষ আমাদের উপাদেয় পুষ্টিকর খাদ্য। কাঁঠালের বহিরাবরণ গবাদি পশুর খাদ্য এবং বিচি উত্তম তরকারি। কাঁচা কাঁঠালও তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় এবং এটি খুবই উপাদেয় খাদ্য। এছাড়া পাকা কাঁঠালের রস দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরির প্রচলন আছে।
বিশেষ করে দুধ-ভাত- কাঁঠাল অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্য। কাঠাল গাছের কাঠ অত্যন্ত দামি। এ কাঠের আসবাবপত্র দেখতে সুন্দর, ব্যবহারে আরাম এবং টেকসই। আমাদের দেশের বহু অঞ্চলেই কাঁঠাল কাঠের আসবাবপত্র অত্যন্ত জনপ্রিয়। সবকিছু মিলিয়ে কাঁঠাল গাছ কৃষকের একটি মূল্যবান সম্পদ ।
উপসংহার :
যেহেতু কাঁঠাল অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল এবং কাঁঠাল গাছের কাঠ শক্ত ও সুন্দর, তাই কাঁঠাল গাছের দিকে আমাদের দৃষ্টি দেওয়া দরকার। দিন দিন অন্যসব গাছপালার মত কাঁঠাল গাছ ও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এজন্যে বাংলাদেশের উঁচু এলাকায় পরিকল্পনামাফিক কাঁঠালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে সবার সচেষ্ট হওয়া দরকার ।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা