নিউক্লিওপ্লাজম কাকে বলে? গঠন,কাজ।সাইটোপ্লাজমের সাথে পার্থক্য

সংজ্ঞা :- নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দ্বারা আবৃত যে স্বচ্ছ দানাদার জেলির মতো অর্ধতরল পদার্থ থাকে তাকে নিউক্লিওপ্লাজম বলে। 

এর অপর নাম ক্যারিওমরফ। এটি মূলত নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ প্রোটোপ্লাজমিক মাতৃকা। এতে নিউক্লিওলাস ও ক্রোমোজোম অবস্থান করে।

নিউক্লিওপ্লাজম এর গঠন :

১। ইহা নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দিয়ে আবৃত স্বচ্ছ ও ঘন তরল পদার্থ ।

২। রাসায়নিকভাবে ইহা প্রোটিন, নিউক্লিয়িক অ্যাসিড ও কিছু এনজাইম দিয়ে গঠিত।

৩। এরা নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ প্রোটোপ্লাজমিক রস। নিউক্লিয়াস, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমোসোম এতে অবস্থান করে ।

নিউক্লিওপ্লাজম এর কাজ : - 

  • ১। নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন ধারণ করা।
  • ২। নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে সহায়তা করা।
  • ৩। নিউক্লিয়াসের প্রয়োজনীয় এনজাইমের আধার হিসেবে কাজ করা।

সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে পার্থক্য :-

সাইটোপ্লাজম নিউক্লিওপ্লাজম
কোষের প্লাজমামেমব্রেনের ভেতরে এবং নিউক্লিয়ার পর্দার বাইরে যে প্রোটোপ্লাজম থাকে তাকে বলা হয় সাইটোপ্লাজম। শুধুমাত্র নিউক্লিয়ার পর্দার ভেতরে অবস্থানরত প্রোটোপ্লাজমকে বলা হয় নিউক্লিওপ্লাজম ।
বিভিন্ন কোষ-অঙ্গাণু ধারণ করা এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করাই এর কাজ। এটি শুধুমাত্র নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থানরত অঙ্গাণুদের ধারণ এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে।
এতে মাইটোকন্ড্রিয়া, গলজি বস্তু, রাইবোসোম, লাইসোসোম ইত্যাদি অঙ্গাণু দেখা যায়। এ সব অঙ্গানুকে একেবারেই দেখা যায় না। না।
এতে ক্রোমোসোম একেবারেই দেখা যায়। এতে ক্রোমোসোম, নিউক্লিওলাস ইত্যাদি অঙ্গাণুকে সমসময় পাওয়া যায় ।
এতে বিভিন্ন আকৃতির গহ্বর থাকতে পারে । এতে কখনোই কোন গহ্বর থাকে না ।
এটি কোষ বিভাজনে গৌণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি কোষ বিভাজনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
এটি কোষের একটি অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সমস্ত কোষ এবং তার সকল ক্রিয়াকলাপের নিয়ন্ত্রক এবং সম্পাদক।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad