পদ্মা সেতু – রচনা ১০০ ও ২০০ শব্দ [ ক্লাস ৩, ৪, ৫ ]

পদ্মা সেতু রচনা – ১০০ শব্দ   

সূচনা :

সাধারণভাবে বলা যায় স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় তা কখনো বাস্তবে পরিণত হয় না। কেননা স্বপ্ন তো কল্পনা মাত্র। কিন্তু কিছু কিছু স্বপ্ন বা কল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়। তারাই একটি নমুনা হলো আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। 

আকার – আকৃতি: 

এই পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। 

গুরুত্ব :

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু। নদীর এপার এবং ওপারের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

খরচ :

যখন সেতুটির প্রকল্প শুরু করা হয় তখন এর খরচ ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। 

উপসংহার :

সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি নতুন যুগের প্রবেশ করেছে। পৃথিবীর মানচিত্রে নিজ গৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। 

পদ্মা সেতু রচনা – ২০০ শব্দ   

সূচনা : 

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত একটি সেতু। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটিয়েছে। স্বাধীনতার পর এই সেতুই বাংলাদেশের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ।

আকার-আকৃতি ও অবস্থান : 

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৭২ ফুট। এই সেতুটি দ্বিতল; উপর দিয়ে যানবাহন এবং নিচে ট্রেন চলার ব্যবস্থা রয়েছে। পদ্মা সেতুর অবস্থান মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে ।

পদ্মা সেতুর গুরুত্ব : 

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নৌপথের আশ্রয় নিতে হয়। ফলে যাতায়াতে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়। এই যাতায়াত দ্রুত করার জন্য পদ্মা সেতু ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া নদীর দুই পাড়ের মানুষের ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটাতেও পদ্মা সেতু ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক স্থান : সোনারগাঁও – রচনা Class 3, 4, 5 

Advertisement Advertisement

পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ : 

২০০৭ সালে প্রকল্প শুরুর সময় পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা । এরপর বিভিন্ন কারণে এর খরচ বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ খরচ দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

উপসংহার : 

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্নের নাম । এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠবে ব্যাপক শিল্পকারখানা, গার্মেন্টস, গোডাউন প্রভৃতি। ব্যবসায়-বাণিজ্যে আসবে নতুন গতি ।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment

Advertisement Advertisement
error: Content is protected !!