সূচনা:
নৌকাভ্রমণ খুবই আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা । বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ বলে সহজেই নদীপথে ভ্রমণ করা যায়। বিশেষ করে বর্ষা ও শরতে নৌকাভ্রমণ অত্যন্ত উপভোগ্য ।
ভ্রমণের উদ্দেশ্য:
সম্প্রতি এক ছুটির দিনে আমরা ছয় বন্ধু মিলে মেঘনা নদীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । সেদিনের অভিজ্ঞতাটি ছিল খুবই আনন্দদায়ক।
ভ্রমণের আয়োজন:
নৌকাভ্রমণের উদ্যোক্তা ছিলাম আমরা কয়েকজন বন্ধু। তবে সহায়তা করতে আমাদের এক বন্ধুর মামা সঙ্গে ছিলেন। সকাল আটটায় আমরা বাগমারী থেকে যাত্রা শুরু করলাম। সকালের জন্য হালকা নাশতা এবং দুপুরে খাওয়ার জন্য পোলাও- মাংস ও কোমল পানীয় সঙ্গে নিলাম । বিনোদনের জন্য হারমোনিয়াম ও বাঁশি আর একটি ক্যামেরা নিতেও ভুললাম না ।
ভ্রমণের বর্ণনা:
দিনটি ছিল শরতের মাঝামাঝি মেঘমুক্ত একটি দিন। প্রবীণ অভিজ্ঞ মাঝি চাচা নৌকা ছেড়ে দিলেন। মৃদু ঢেউয়ের মধ্যে নৌকা ভাটির দিকে তরতরিয়ে চলল। নদীতে ছোট-বড় অনেক নৌযান দেখলাম। এর মধ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও লঞ্চই ছিল বেশি। গোটাকয়েক ছোট রংবেরঙের পালতোলা নৌকা দেখলাম। জেলেরা নদীতে জাল ফেলছে।
আরও পড়ুন :- বনভোজন - বাংলা রচনা [ class 3, 4, 5 ]
তীরের মাঠে কাজ করছে কৃষক। এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে হঠাৎ রনি গেয়ে উঠল, 'আমার গহিন গাঙের নাইয়া..।' রনির গানের সঙ্গে ফরহাদ হারমোনিয়াম এবং প্রদীপ বাঁশি বাজাল। রনির গানে মনে হয় উৎসাহিত হলেন মাঝি । ওর কণ্ঠ থামতেই তিনি দরাজ গলায় গেয়ে উঠলেন, 'নদীর এপার গড়ে...।
উপসংহার:
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা