সূচনা
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। একসময় এদেশ পাকিস্তানের অধীনে ছিল। দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। মোস্তফা কামাল তাঁদের মধ্যে অন্যতম ।
জন্ম ও পরিচয়
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। তিনি মাত্র ২০ বছর বয়সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল
তিনি ১৯৭১ সালে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যুদ্ধে শত্রু মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে সৈন্যদের মনোবল । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগরের উত্তরে দরুইন গ্রামে দশজন মুক্তিসেনা নিয়ে গঠিত প্লাটুনের অধিনায়ক ছিলেন তিনি ।
আরও পড়ুন :- বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ – রচনা
মোস্তফা কামালের অবদান
১৭ এপ্রিল ভোরবেলা এই গ্রামের মুক্তিসেনাদের ওপর পাকিস্তানের সেনারা গোলাবর্ষণ শুরু হয়। এই আক্রমণ বিধ্বংসী রূপ নেয় ১৮ এপ্রিল। সেদিন প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝেই শুরু হয় শত্রু পক্ষের গোলাবর্ষণ।
মোস্তফা কামাল তাঁর সহযোদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ পরিস্থিতিতে মোস্তফা কামাল একাই শত্রুর মোকাবিলা করতে থাকেন। এক সময় শত্রুর গোলার আঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর শরীর। তিনি শাহাদাত বরণ করেন ।
বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি
সিপাহি মোস্তফা কামালের মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করেন।
উপসংহার
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আমাদের গৌরব ও অহংকার । তাই জাতি যুগ যুগ ধরে তাঁর মহান কীর্তি স্মরণ করে গৌরব বোধ করবে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্ট
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ – রচনা