হোস্টেল জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে পিতার নিকট পএ :-
আল্লাহ মেহেরবান
প্রিয় বাবা,
পত্রের শুরুতে আমার আমার সালাম নিবেন। কেমন আছেন আপনি? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আপনাকে এই পত্র লেখার উদ্দেশ্য হলো হোস্টেল জীবন কেমন যাচ্ছে তা জানানো। আসলে ছাত্রাবাসে না থাকলে বোঝা যায় না ছাত্রাবাস কেমন লাগে। প্রথম প্রথম এখানে থাকতে অনেক কষ্ট হতো। বাড়ির সবাইকে ছেড়ে একা একা লাগত। তবে এখন আর সেরকম মনে হয় না।
আমরা একটি রুমে চারজন থাকি। রুমের চারপাশে চারটি বেড। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা চেয়ার টেবিল আছে। এখানকার খাওয়া-দাওয়া অতি সাধারণ এবং একঘেয়ে ধরনের। আসলে ছাত্রবাসে না থাকলে বাড়ির খাবারের মাধুর্য কেউ বুঝতে পারে না। বিকালে আমরা খেলাধুলা করি আবার কখনো বেড়াতে যাই। সন্ধ্যার সময় ছাত্রাবাসে ফিরে আসি। হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসি। তবে মাঝে মাঝে এই গৎ-বাঁধা জীবনের প্রতি বিরক্ত লাগে এবং বাড়ি চলে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু শুধু যেতে পারি না ভবিষ্যৎ স্বপ্নের জন্য।
আমাদের ছাত্রাবাসের সুপার স্যার খুবই ভালো। তিনি বিনয়ী ও ধার্মিক মানুষ। তিনি আমাদের প্রতি সবসময় নজর রাখেন। তিনি কোনোরকম নিয়ম-শৃঙ্খলহীনতা ও হৈহুল্লোড় পছন্দ করেন না। আমি আগামী গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ি আসব। মা, বোন সবাই কেমন আছেন ? সবাই কে বলবেন আমার জন্য দোয়া করতে।
প্রেরক বাহারুল ইসলাম মোহাম্মদপুর ঢাকা |
ডাকটিকেট প্রাপক আরশেদ আলী ঘাটাইল টাঙ্গাইল |
আরও পড়ুন :- জীবনের লক্ষ্য জানিয়ে বড় ভাই, বাবা, মা,ও বন্ধুর নিকট পত্র
ছাত্রাবাস জীবনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মাকে পত্র :-
আল্লাহ মেহেরবান
মা,
সালাম নেবেন। আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। গতকাল ঠিকমতোই ময়মনসিংহে এসে পৌঁছেছি। ছাত্রাবাসে উঠতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে ব্যাগ খুলে দেখলাম তোয়ালে আনা হয়নি। তাই পাশের একটা দোকান থেকে তোয়ালে কিনে নিয়েছি।
আমার সৌভাগ্য বলতে হবে, দোতলার বেশ খোলামেলা একটি রুমে আমি সিট পেয়েছি। আমার পড়ার টেবিলের সামনে দক্ষিণের জানালা, সামনের বাগানের ফুলের সুগন্ধ ভেসে আসে জানালা দিয়ে। তাছাড়া বিছানার পাশেও একটা জানালা আছে। এই জানালাটি বেশ বড়। তবে পাশেই একটা কাঁঠাল গাছ থাকায় জায়গাটি ছায়াময়। গরমকালে বেশ ভালো লাগবে। তাড়াতাড়ি হোস্টেলে সিট নেওয়ায় ভালোই হয়েছে বলতে হবে, কেননা তা না হলে এত ভালো সিট পাওয়া যেত না ।
আমদের রুমটি চারজনের। এখন তিনজন আছি। চতুর্থজন এখনো আসেনি। রুমমেটরা সবাই বেশ মিশুক এবং সহযোগিতার মানসিকতাসম্পন্ন । এই ছাত্রাবাসে মোট চল্লিশজন থাকতে পারে। সবাই এখনো আসেনি। তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যে স্যার আছেন তিনি নিয়ম- শৃঙ্খলার ব্যাপারে খুব কড়া। নিচের তলায় ঠিক আমাদের নিচের ঘরটিতেই তিনি থাকেন । তার পাশের ঘরেই হোস্টেলের অফিস।
ছাত্রাবাসে এখন আলাপ-পরিচয়ই বেশি হচ্ছে। মা, হোস্টেলে আমার খারাপ লাগছে না। আমি পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। মাঝে মাঝে আপনার চিঠি পেলে আমার খুব ভালো লাগবে ।
প্রেরক মোঃ হাবিব আনন্দমোহন কলেজ, ছাত্রাবাস ময়মনসিংহ |
ডাকটিকেট প্রাপক হেনা বেগম
মধুপুর টাঙ্গাইল |
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা