যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না – মাসয়ালা মাসায়েল

মাসআলা– ১ : 

রোযা রেখে যদি রোযার কথা ভুলে কিছু খেয়ে ফেলে বা ভুলে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস হয়ে যায়, তবে তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। পেট ভরে খেলেও না । কিন্তু খাওয়া অবস্থায় স্মরণ হলে সাথে সাথেই তা বন্ধ করে দেবে।

মাসআলা– ২ : 

কোন রোযাদারকে ভুল বশতঃ খেতে দেখলে রোযাদার যদি সবল হয়, তবে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া ওয়াজিব । কিন্তু যদি সে শক্তিহীন দুর্বল হয়, তবে স্মরণ করাবে না ।

মাসআলা- ৩ : 

রোযা রেখে দিনে ঘুমালে ও স্বপ্ন দোষ হলে বা স্বপ্নে কিছু খেলে বা পানাহার করলে রোযা ভঙ্গ হয় না ।

মাসআলা- ৪ : 

রোযা রেখে সুরমা, তেল বা সুগন্ধি লাগানো জায়েয আছে।

মাসআলা- ৫ : 

রোযা রেখে দিনের বেলা স্বামী-স্ত্রী এক সাথে শয়ন করা, পরস্পর হাত লাগানো বা ভালবাসা দেখানো জায়েয। কিন্তু যদি কামভাব প্রবল হয়ে সহবাসের আশংকা হয় তবে এরূপ করা মাকরূহ। (হ্যাঁ, যে সব অধিক বয়স্ক লোকের মনে চাঞ্চল্য আসে না তাদের জন্য মাকরূহ নয়।)

আরও পড়ুন :- যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় – মাসয়ালা মাসায়েল 

মাসআলা— ৬ : 

আপনা আপনি যদি হলকুমের মধ্যে মাছি, ধোঁয়া, ধুলি ইত্যাদি ঢুকে যায়, তবে রোযা ভঙ্গ হবে না। কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক এরূপ করলে ভঙ্গ হবে।

মাসআলা- ৭ : 

দাঁতের ফাঁকে আকানো খাদ্য দ্রব্যের কণা খেলাল বা জিহ্বা দ্বারা বের করে গিলে ফেললে তা যদি চনাবুট হতে ছোট হয় এবং মুখের বাইরে না আনে তবে রোযা ভঙ্গ হবে না । অন্যথায় ভেঙ্গে যাবে ।

মাসআলা- ৮ : 

মুখের থুথু গিলে ফেললে তা বেশী হলেও রোযার কোন ক্ষতি হয় না ।

মাসআলা— ৯ : 

শেষ রাতে সেহরী খাওয়ার পর পান খেলে উত্তম রূপে কুল্লি করা উচিৎ। কুল্লি করার পরও যদি সকালে থুথু কিছুটা লাল দেখায় তবে রোযা ভঙ্গ হয় না ।

মাসআলা- ১০ : 

রাতে গোসল ফরয হলে সুবহে সাদেকের আগেই গোসল করে নেয়া উচিৎ। কিন্তু তা না করে বিলম্ব করলে কিংবা সারা দিনও গোসল না করে থাকলে রোযা নষ্ট হবে না । অবশ্য ফরয গোসল অহেতুক দেরীতে করা অন্যায় । এবং তার জন্য পৃথক গুনাহ হবে ।

আরও পড়ুন :- রোজা ভঙ্গের কারণ এবং রোযা অবস্থায় যেসব কাজ বৈধ ও অবৈধ 

মাসআলা- ১১ : 

নাকের সর্দি বা মুখের লালা টেনে গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হবে না । 

মাসআলা— ১২ : 

আপনা আপনি বমি হলে কম হোক বা বেশী হোক রোযা নষ্ট হবে না । কিন্তু ইচ্ছা করে মুখ ভরে বমি করলে রোযা নষ্ট হবে। অল্প করলে নষ্ট হবে না ।

মাসআলা— ১৩ : 

আপনা আপনি সামান্য বমি হয়ে আপনা আপনিই হলকুমে চলে গেলে . রোযা ভঙ্গ হবে না। কিন্তু যদি অনুরূপ বেশী পরিমাণে হয় এবং হলকুমের নিচে চলে যায় কিংবা সামান্য হলেও যদি ইচ্ছা করে গিলে ফেলে তবে রোযা ভেঙ্গে যাবে । কিন্তু পানাহার করবে না।

মাসআলা- ১৪ : 

প্রয়োজনে জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে কোন দ্রব্যের শুধু স্বাদ দেখে থুথু ফেলে দিলে রোযা ভঙ্গ হয় না। যেমন কারো স্বামী এমন বদমেজাযী যে, ছালুনে লবণ একটু বেশি কম হলে অত্যাচার শুরু করে দেয়। কিন্তু বিনা দরকারে এরূপ করা মাকরূহ।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment

Advertisement Advertisement
error: Content is protected !!