উপস্থাপনা : নেফাকী আচরণ ইসলামী আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই মুনাফিকরা ইসলামের চিরশত্রু। নেফাকী আচরণ সামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। নিম্নে কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ ব্যাপারে আলোচনা পেশ করা হলো।
নিফাকের কুফল ও পরিণতি সম্পর্কে - ১০ টি বাক্য :-
নেফাক এমন এক ব্যাধি, যার কুফল গোটা সমাজকে কলুষিত করে তোলে। সামাজিক জীবনে এর কুফল অত্যন্ত মারাত্মক এবং মানবতা বিধ্বংসী। নিম্নে এর কুফলের কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো। যেমন-
১. নেফাকী চরিত্র তথা মিথ্যাচার, খেয়ানত, ঝগড়া, অশ্লীল উক্তি, ওয়াদা ভঙ্গ ইত্যাদি বিষয় স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক জীবনে অশান্তি ডেকে আনে।
২. নেফাক সামাজিক কাঠামো ও বন্ধন ধ্বংস করে দেয়।
৩. সামাজিক শৃঙ্খলা ও নীতিবোধ ধ্বংস করে কোন্দল উসকিয়ে দেয়।
৪. মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবীয় মূল্যবোধকে বিনষ্ট করে সমাজজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
৫. জাতিধর্ম নির্বিশেষে হিংসাবিদ্বেষ সৃষ্টি করে ।
৬. নেফাকী আচরণ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের হুমকি হিসেবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
৭. নেফাক একজন মানুষের নৈতিক চরিত্রের ভিত্তিকে উপড়ে ফেলে ।
৮. নেফাকী আচরণ কখনো কখনো রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
৯. নেফাক এতবেশি জঘন্য দোষ, এটি একটি বিশাল সমাজব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য একাই যথেষ্ট। যেমন বনি ইসরাঈলের সামেরী এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।
১০. নেফাকী চরিত্রের কারণে ইসলামের প্রচার প্রসার ও প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। কারণ এদের লোক দেখানো আচরণ অন্যদের মনে প্রভাব বিস্তার করে। ফলে অন্যরাও ইসলাম গ্রহণ করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পতিত হয়।
উপসংহার :-
নেফাকের কুফল যেহেতু গোটা মানবসমাজকে কলুষিত করে, সেহেতু আমাদের উচিত নেফাকী আচরণ পরিত্যাগ করা এবং অন্যদের নেফাকী আচরণের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকা।