ভাজক টিস্যু কাকে বলে ও কত প্রকার।ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্য ও কাজ

সংজ্ঞা :-  যে সব টিস্যুর কোষগুলো অপরিণত অবস্থায় থাকে এবং সবসময়ই বিভক্ত হয়ে নতুন অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাদেরকে ভাজক টিস্যু বলে।

ভাজক টিস্যুর প্রকারভেদ :

উৎপত্তি অনুসারে ভাজক টিস্যু ৩ প্রকার । যথাঃ- 

  • i) প্রারম্ভিক ভাজক টিস্যু ( Promeristem ) ।
  • ii) প্রাইমারি ভাজক টিস্যু ( Primary meristem )।
  • iii) সেকেন্ডারি ভাজক টিস্যু  ( Secondary meristem )।

অবস্থান অনুসারে ভাজক টিস্যু ৩ প্রকার । যথাঃ-

  • i)  শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যু ( Apical meristem )  
  • ii) নিবেশিত ভাজক টিস্যু ( Intercalary meristem ) 
  • iii) পার্শ্বীয় ভাজক টিস্যু ( Lateral meristem )

বিভাজন অনুসারে ভাজক টিস্যু ৩ প্রকার। যথাঃ-  

  • i) মাস ভাজক টিস্যু ( Mass meristem ) । 
  • ii) প্লেট ভজক টিস্যু ( Plate meristem )।
  • iii) রিব ভাজক টিস্যু ( Rib meristem ) । 

কাজ অনুসারে ভাজক টিস্যু ৩ প্রকার। যথাঃ-

i) প্রোটোডার্ম ( Protoderm ) ।

ii) প্রোক্যাম্বিয়াম ( Procambium ) ।

iii) গ্রাউন্ড মেরিস্টেম ( Ground meristem ) ।

আরও পড়ুন :- স্থায়ী টিস্যুর সংজ্ঞা, প্রকার, বৈশিষ্ট্য।ভাজক ও স্থায়ী টিস্যুর পার্থক্য 

ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্য :

  • ভাজক টিস্যুর কোষগুলোর বিভাজন ক্ষমতা বিদ্যমান ।
  • কোষগুলো সাধারণত আয়তাকার বা ডিম্বাকার।
  • কোষগুলোর কোষপ্রাচীর পাতলা ও সেলুলোজ নির্মিত।
  • কোষে বড় নিউক্লিয়াস ও ঘন সাইটোপ্লাজম উপস্থিত।
  • কোষে কোষগহ্বর সাধারণত অনুপস্থিত ।
  • কোষগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট হওয়ায় এদের মধ্যে আন্তঃকোষীয় ফাঁক অনুপস্থিত ।
  • কোষগুলো সাধারণত সমব্যাস বিশিষ্ট হয় ।
  • কোষগুলো বিপাকীয়ভাবে অত্যন্ত সক্রিয়।

ভাজক টিস্যুর কাজ

  • ভাজক কলার বিভাজন ক্ষমতা লুপ্ত হলে এরা স্থায়ী কলায় পরিণত হয়।
  • উদ্ভিদের কান্ডে ও মূলের অগ্রভাগে ভাজক কলা থাকায়, এরা সবসময় দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়।
  • ভাজক কলা ক্ষতস্থান পূরণ করতে সহায়তা করে।
  • ভাজক কলা উদ্ভিদের পরিধির বৃদ্ধি ঘটায়।

আরও পড়ুন :- সরল,জটিল,নিঃস্রাবী টিস্যু সংজ্ঞা,প্রকার।সরল ও জটিল টিস্যুর পার্থক্য

ভাজক টিস্যুর অবস্থান

উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল যথা : মূল, কাণ্ড ও কচিপাতার অগ্রভাগে সাধারণত ভাজক টিস্যু থাকে। এছাড়া পুষ্প কান্ডমুকুল, পর্বমধ্য ও কাণ্ডের পরিধিতেও ভাজক টিস্যু থাকে।

FAQs

১। পাতা কোন ভাজক টিস্যুর উদাহরণ?
উত্তরঃ  প্লেট ভাজক টিস্যু।
 
২। কোন ভাজক টিস্যুর কারণে উদ্ভিদের আয়তন বৃদ্ধি পায়?
উত্তরঃ  প্লেট ভাজক টিস্যু।
 
৩। ভাজক টিস্যু উদ্ভিদের কোথায় অবস্থান করে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল যথা : মূল, কাণ্ড ও কচিপাতার অগ্রভাগে সাধারণত ভাজক টিস্যু থাকে। 
 
৪। প্রাথমিক ভাজক টিস্যুর সৃষ্টি হয় কোথা থেকে?
উত্তরঃ  প্রোমেরিস্টেম থেকে। 
 
৫। উদ্ভিদের কর্টেক্সে কোন ধরনের ভাজক টিস্যু পাওয়া যায়?
উত্তরঃ মাস ভাজক টিস্যু। 
 
৬। যে ভাজক টিস্যুর কোষগুলো এক তলে বিভাজিত হয় তাকে কি বলে?
উত্তরঃ রিব ভাজক টিস্যু। 
 
৭। তরুণ মূলে কোন ভাজক টিস্যু দেখা যায়?
উত্তরঃ রিব ভাজক টিস্যু।
 
৮। ভাজক টিস্যুর কোষ প্রাচীর কি দিয়ে তৈরি? 

উত্তরঃ সেলুলোজ। 

৯. ভাজক টিস্যুকে সেকেন্ডারী টিস্যু বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ পার্শ্বীয় ভাজক টিস্যুর কোষগুলোর বিভাজনের ফলে উদ্ভিদের মোটা মূল ও কাণ্ডের বেড় বাড়তে থাকে অর্থাৎ মূল ও কাণ্ড ক্রমান্বয়ে হয়। উৎপত্তি অনুসারে ভাজক টিস্যুকে সেকেণ্ডারী ভাজক টিস্যু বলা হয় কারণ স্থায়ী টিস্যু হতে এদের উৎপত্তি ।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!