রোজা ফরজ হওয়ার সময়কাল :
রমযানের রোযা কখন ফরয হয়েছে এ সম্পর্কে ইমামগণের মাঝে ভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। যেমন-
১. ইবনে কাসীরের অভিমত :
আল্লামা ইবনে কাসীর (র) সহ অধিকাংশ আলেম বলেন, হিজরী দ্বিতীয় সনের শাবান মাসে কিবলা পরিবর্তনের ঘোষণা নাযিল করে রোযা ফরয করা হয়। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون উল্লেখ্য, রমযানের রোযা ফরয হওয়ার আগে আশুরার রোযা ফরয ছিল। হিজরতের পর । أيام البيض-এর রোযা ফরয করা হয়েছে। এর পর রমযানের রোযা ফরয করা হয়েছে এবং صوم ايام بيض ও صوم عاشوراء মানসুখ হয়ে গেছে।
যেমন হাদীসে এসেছে-
عَنْ جَابِرٍ بنِ سَمُرَةَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ (صـ) يَأْمُرُ بِصِيَامٍ عَاشُورَاء وَيُحتُنَا عَلَيْهِ وَيَتَعَاهَدْنَا فَلَمَّا فُرِضَ رَمَضَانُ لَمْ يَأْمُرنَا وَلَمْ يَنْهَاأنا عَنْهُ وَلَمْ يَتَعَاهَدنا
২. আল্লামা আইনীর অভিমত :-
রমযানের রোযা ফরয হওয়ার সময়কাল সম্পর্কে আল্লামা বদরুদ্দীন আইনি (র ) বলেন রোজা দ্বিতীয় হিজরীতে ফরজ হয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ (স) নবুয়তী জীবনে নয়টি রমযান পেয়েছেন ।
৩. মোল্লা আলী কারীর অভিমত :-
আল্লামা মোল্লা আলী কারী (র) বলেন- হিজরতের আঠারো মাসের মাথায় শাবান মাসে কিবলা পরিবর্তনের পর রমযানের রোযা ফরয করা হয়।
৪. জুহাইলী অভিমত :-
ড. ওয়াহবাতুজ জুহাইলী বলেন- হিজরীর শাবান মাসের ১০ তারিখে পবিত্র মদিনায় রমযান মাসের রোযা ফরয হয় ।
আরও পড়ুন :- রোজার কাফফারা কি? কাফফারার পরিমাণ এবং কিভাবে দিতে হয়
যেসব রোযার জন্য নিয়ত করা ওয়াজিব:-
১. রমযানের কাযা রোযা।
২. সাধারণত মান্নতের রোযা ।
৩. যে কোনো কাফফারার রোযা
৪. যেহারের কাফফারার রোযা।
৫. মুসাফির ও রুগ্ন ব্যক্তি যদি রোযা রাখে তার জন্য রোযার নিয়ত করা ওয়াজিব।
যেসব রোযার নিয়ত নির্দিষ্ট করা ওয়াজিব নয় :-
১. মুকীমের জন্য রমযানের রোযার নিয়ত করা ওয়াজিব নয় । কেননা, সে রমযান মাসে অন্য কোনো রোযার নিয়ত করলেও তা রমযানের রোযা হিসেবেই গণ্য হবে।
২. নির্দিষ্ট মান্নতের রোযা ও নফল রোযার নিয়তও রাতে করা ওয়াজিব নয় ।