উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য :-
উদ্ভিদ |
প্রাণী |
১। নির্দিষ্ট আকার ও আকৃতি থাকে না।
|
১। নির্দিষ্ট আকার ও আকৃতি থাকে । |
২। জীবনকাল নির্দিষ্ট থাকে না, উপযুক্ত পরিবেশে এরা বহুকাল বাঁচে।
|
২। জীবনকাল নির্দিষ্ট; অনুকূল পরিবেশ পেলেও এরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাঁচে।
|
৩। উপযুক্ত পরিবেশে এদের বৃদ্ধি বহুকাল ধরে চলে, এমনকি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকে ।
|
৩। বৃদ্ধি জীবনের একটা বিশেষ সময় পর্যন্ত চলে তারপর বন্ধ হয়ে যায় ।
|
৪। বেশির ভাগই মাটির সাথে আবদ্ধ থাকার কারণে মুক্তভাবে চলাচলে অক্ষম ।
|
৪। সামান্য কিছু প্রাণী (যেমন - স্পঞ্জ) ছাড়া সব প্রাণিই স্বাধীনভাবে চলাচলে সক্ষম ।
|
৫। এরা স্বভোজী। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় এদের প্রয়োজনীয় শর্করা এরা নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারে ।
|
৫। এরা পরভোজী। এরা নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতে হয়।
|
৬। উদ্ভিদ কোষের কোষপ্রাচীর মৃত, কোষগহ্বর বড় এবং কোষে প্লাস্টিড থাকে।
|
৬। এদের কোষে কোষপ্রাচীর থাকে না; গহ্বর যদি থাকেও তা আকারে খুব ছোট এবং কোষে কোনো প্লাস্টিড থাকে না, কিন্তু সেন্ট্রিওল থাকে ।
|
৭। এরা সাধারণত অঙ্গজ, অযৌন ও যৌন- এ তিন প্রক্রিয়াতেই বংশবৃদ্ধি করে থাকে।
|
৭। এরা সাধারণত যৌন প্রক্রিয়ায়ই বংশ বৃদ্ধি করে থাকে; তবে কিছু নিম্নশ্রেণীর প্রাণী আছে যারা অঙ্গজ বা অযৌন প্রক্রিয়ায় বংশ বৃদ্ধি করে থাকে।
|
৮। এদের দেহে কোনো তন্ত্র থাকে না ।
|
৮। এদের দেহে একাধিক তন্ত্র থাকে ।
|
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য:-
উদ্ভিদকোষ |
প্রাণিকোষ |
১। অধিকাংশ উদ্ভিদকোষ সেলুলোজ নির্মিত জড় কোষপ্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত।
|
১। প্রাণিকোষে কোষপ্রাচীর নেই; এটি শুধু প্লাজমা ঝিল্লী দ্বারা বেষ্টিত ।
|
২। উদ্ভিদকোষে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিড থাকে।
|
২। প্রাণিকোষে প্লাস্টিড নেই ।
|
৩। সাধারণত এক বা একাধিক কোষগহ্বর থাকে।
|
৩। কতকগুলো নিম্নশ্রেণীর প্রাণি ব্যতীত অধিকাংশ প্রাণিকোষে কোষগহ্বর থাকে না ।
|
৪। উদ্ভিদকোষে সাধারণত সেন্ট্রোজোম থাকে না ।
|
৪। প্রাণিকোষে সর্বদা সেন্ট্রোজোম থাকে ।
|
৫। অণুবীক্ষণ যন্ত্রে গলজি বস্তুর উপস্থিতি কম দেখা যায় ।
|
৫। অণুবীক্ষণ যন্ত্রে প্রায়শ গলজি বস্তু দেখা যায় ।
|
৬। উদ্ভিদকোষে সঞ্চিত খাদ্য মূলতঃ শ্বেতসার।
|
৭। প্রাণিকোষের সঞ্চিত খাদ্য মূলতঃ গ্লাইকোজেন ।
|