বাংলা রচনা : মেট্রোরেল - PDF

ভূমিকা : 

অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে ঢাকা শহরে যানজটও অনেক বেশি। শহরের এই যানজট সমস্যা দূর করার জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর সাহায্যে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষকে দ্রুত ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

মেট্রোরেল কী : 

ঢাকার মেট্রোরেল ব্যবস্থাকে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্ট । সংক্ষেপে এমআরটি বলা হয়। এটি সুবিধাজনক, দ্রুতগামী, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নগরকেন্দ্রিক যানবাহন । বিদ্যুৎচালিত এই পরিবহণ স্বল্প সময়ে অনেক যাত্রী পরিবহণে সক্ষম ।

প্রকল্প বর্ণনা : 

২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার মেট্রোরেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদন পায়। এ রেলপথের দৈর্ঘ্য উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারিখে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। 

আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু - রচনা ১০০ ও  ২০০ শব্দ  [ ক্লাস ৩, ৪, ৫ ]

এ রেলপথের দৈর্ঘ্য উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। মেট্রোরেল ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে চালু হলে এতে ঘণ্টায় প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে। এতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন থাকবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ।

জনজীবনে মেট্রোরেলের প্রভাব : 

ঢাকায় বর্তমানে প্রায় দুই কোটি মানুষ বসবাস করে। আয়তনের তুলনায় এই জনসংখ্যা অনেক বেশি। ফলে লোকজন পাবলিক বাসে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করে । আবার যানজটের কারণে অনেকেই সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। মেট্রোরেল প্রকল্পের মাধ্যমে এসব সমস্যা নিরসন হবে বলে আশা করা যায়।

উপসংহার :

ঢাকার বাড়তি জনসংখ্যার চাপ মোকাবিলার জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সময়ে অনেক যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে বলে ট্রাফিক জ্যাম দ্রুত হ্রাস পাবে। পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে ঢাকার পরিচিতি বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।




Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad