সাধু ভাষা থেকে চলিত ভাষায় - রূপান্তর উদাহরণ

সাধু ভাষা : মিনিট পনের এইভাবে কাটিল। আর একটা জিনিস লক্ষ্য করিতেছিলাম, প্রায়ই দেখিতেছি কাছাকাছি একটা ভুট্টা গাছের ডগা ভয়ানক আন্দোলিত হইয়া ছপাৎ করিয়া শব্দ হইতেছে।

চলিত ভাষা : মিনিট পনের এভাবে কাটল। আর একটা জিনিস দেখছিলাম, প্রায়ই কাছাকাছি একটা ভুট্টা গাছের ডগা ভয়ানক নড়ে চড়ে ছপাৎ করে শব্দ হচ্ছে।

সাধু ভাষা : পবিত্র কোরানের বাণীর মধ্যেই হযরতের চরিত্র মাধুর্যের মর্মকথা নিহিত আছে। বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্যশীলতা, সত্যপ্রিয়তা প্রভৃতি মহৎ গুণাবলি তাঁহার চরিত্রকে অলংকৃত করিয়াছিল। সত্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় সংকল্প তাঁহার জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করিয়া তুলিয়াছিল । তিনি ছিলেন স্নেহময় পিতা, প্রেমময় স্বামী, সদাশয় প্রভু, অসীম দয়ার আধার, আপন-পর, শত্রু-মিত্র সকলের প্রতিই তাঁহার করুণা সমভাবে বর্ষিত হইত। দারিদ্র্য তাঁহার গৌরব এবং দরিদ্রের সেবাই জীবনের ব্রত ছিল।

চলিত ভাষা : পবিত্র কোরানের বাণীর মাঝেই হযরতের চরিত্র মাধুর্যের মর্মকথা নিহিত আছে। বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্যশীলতা, সত্যপ্রিয়তা প্রভৃতি মহৎ গুণাবলি তাঁর চরিত্রকে অলংকৃত করেছিল। সত্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় সংকল্প তাঁর জীবনকে সুন্দর ও স্বার্থক করে তুলেছিল। তিনি ছিলেন স্নেহময় পিতা, প্রেমময় স্বামী, সদাশয় প্রভু, অসীম দয়ার আধার, আপন-পর, শত্রু-মিত্র সকলের প্রতিই তাঁর করুণা সমভাবে বর্ষিত হতো। দারিদ্র্য তাঁর গৌরব এবং দরিদ্রের সেবাই তাঁর জীবনের ব্রত ছিল।

আরও পড়ুন :- চলিত ভাষা থেকে সাধু ভাষায় রূপান্তরের নিয়ম এবং রূপান্তর 

সাধু ভাষা : আলাদিন প্রথমে একটু ভয় পাইয়া গিয়াছিল। কিন্তু অচিরেই তাহার ভয় কাটিয়া গেল। ফাটল বাহিয়া নিচে নামিতে সে রাজি হইল । যাদুকর ইহাতে খুশি হইল। আলাদিনের একটি আঙ্গুলে সে একটি আংটি পরাইয়া দিয়া বলিল, ভয় পাইওনা। এই আংটি তোমাকে সব রকমের বিপদ হইতে রক্ষা করিবে। এইবার নিচে নামিয়া প্রদীপটি লইয়া আস। আমি এইখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করিতেছি।

চলিত ভাষা : আলাদিন প্রথমে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অচিরেই তার ভয় কেটে গেল। ফাটল বেয়ে নিচে নামতে সে রাজি হলো। যাদুকর এতে খুশি হলো । আলাদিনের একটি আঙ্গুলে সে একটি আংটি পরিয়ে দিয়ে বললো, “ভয় পেওনা। এই আংটি তোমাকে সব রকমের বিপদ হতে রক্ষা করবে। এবার নিচে নেমে প্রদীপটা নিয়ে এসো। আমি এখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।”

সাধু ভাষা : কালীকান্ত মনে করিল, “বাবা, উহার কথার ভাব যে কেমন কেমন! আমাদের বাবু যে একটি গেছো মেয়ের হাতে পড়িয়াছেন, দেখিতে পাই । তাহা আমার সবই ভাল।” এই ভাবিয়া কালীকান্ত পুনরায় ভক্তিভাবে প্রণাম করিয়া পালাইবার উদ্যোগ করিতেছিল দেখিয়া কামসুন্দরী, আসিয়া তাহার গাত্রবস্ত্র ধরিল ।। কামসুন্দরী তাহাকে তাহার আসনের দিকে টানিতে লাগিল ।

চলিত ভাষা : কালীকান্ত মনে করল, “বাবা এর কথার ভাব যে কেমন কেমন! আমাদের বাবু একটা গেছো মেয়ের হাতে পড়েছেন, দেখছি। তা আমার সবই ভাল।” এই ভেবে কালীকান্ত আবার ভক্তিভাবে প্রণাম করে পালানোর উদ্যোগ করছিল দেখে কামসুন্দরী এসে তার গায়ের কাপড় ধরল। কামসুন্দরী তাকে তার আসনের দিকে টানতে লাগল ।

আরও পড়ুন :- সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য - ১০টি  ও ২০টি 

সাধু ভাষা : দেশী ভাষা, বিশেষ করিয়া বাংলা ভাষার উন্নতির জন্য এই মাদরাসার কর্তৃপক্ষ বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন । ইহাদের অকৃত্রিম চেষ্টার ফলে বাংলা গদ্য এতটা নিয়ন্ত্রিত ও বিকশিত হইয়াছিল যে, ইহাদের সম্পাদিত পুস্তক এক সময়ে দেশবাসীর রসপিপাসা মিটাইবার সব সামর্থ্য লাভ করিয়াছিল ।

চলিত ভাষা : দেশী ভাষা, বিশেষ করে বাংলা ভাষার উন্নতির জন্য এ মাদরাসার কর্মকর্তারা বিশেষ চেষ্টা করেছিলেন। এদের অকৃত্রিম চেষ্টার ফলে বাংলা গদ্য এতোটা নিয়ন্ত্রিত ও বিকশিত হয়েছিল যে, এদের সম্পাদিত বই এক সময়ে দেশবাসীর রসপিপাসা মিটানোর সব সামর্থ্য লাভ করেছিল।

সাধু ভাষা : সুখে থাকিয়া এবং পেট ভরিয়া খাইয়া কিছুদিনের মধ্যে ভিখুর দেহে পূর্বের স্বাস্থ্য ফিরিয়া আসিল । তাহার ছাতি ফুলিয়া উঠিল, প্রতিটি অঙ্গ সঞ্চালনে হাতের ও পিঠের মাংসপেশী নাচিয়া উঠিতে লাগিল। অবরুদ্ধ শক্তির উত্তেজনায় ক্রমে ক্রমে তাহার মেজাজ উদ্ধত ও অসহিষ্ণু হইয়া পড়িল ।

চলিত ভাষা : সুখে থেকে এবং পেট ভরে খেয়ে কিছুদিনের ভেতর ভিখুর দেখে আগের স্বাস্থ্য ফিরে এল । তার ছাতি ফুলে উঠল, প্রতিটি অঙ্গ নাড়াচাড়ায় হাতের ও পিঠের মাংসপেশী নেচে উঠতে লাগল । আটকে থাকা শক্তির উত্তেজনায় ধীরে ধীরে তার মেজাজ উদ্ধত ও অসহিষ্ণু হয়ে পড়ল ।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad