পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যে জন, নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন
মূলভাব : অপরের ক্ষতি করার চিন্তা-ভাবনা করলে পরিণামে তারই ক্ষতি সাধিত হয়।
সম্প্রসারিত ভাব : যারা প্রকৃত ভালো ও মহৎলোক তারা কখনো অপরের অমঙ্গল, অকল্যাণ ও অনিষ্টের চিন্তা করেন না। সাধু ও সজ্জন ব্যক্তিরা সারাজীবন পরের মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য নিজেদের আত্মসুখ বিসর্জন দেন; এমনকি জীবন বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।
পৃথিবীতে মহাপুরুষগণের জীবনী লক্ষ করলে দেখা যায়, তাঁরা সমগ্র জীবন মানুষের কল্যাণ সাধনে বিলিয়ে দিয়েছেন। মহানবি (স)-এর চলার পথে এক বৃদ্ধা বিদ্বেষমূলক প্রতিদিনই কাঁটা বিছিয়ে রাখত। মহানবি (স) কাঁটার আঘাতে কষ্ট পেলেও বৃদ্ধাকে কোনোদিন গালমন্দ করেননি । একদিন তিনি তাঁর চলার পথে কাঁটা দেখতে না পেয়ে বিস্মিত হন এবং খবর নিয়ে জানতে পারেন যে বৃদ্ধা অসুস্থ। মহানবি (স) তৎক্ষণাৎ বৃদ্ধাকে দেখতে যান এবং তার অসুখের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এতে বৃদ্ধা বিস্ময়ে বিমুখ হয়ে যান। তিনি উপলব্ধি করতে পারেন, পরের অনিষ্ট চিন্তা ও কাজের মধ্যে কোনো মঙ্গল নেই; বরং এরূপ পরের অনিষ্ট চিন্তা ও কাজ নিজের জন্য ধ্বংস ডেকে আনে। পরের অনিষ্ট করতে গিয়ে বহু লোক নিজেদের জীবনকেই ধ্বংস করেছে। এর বহু নজির ইতিহাসের পাতায় রয়েছে। এই বিচিত্র জগতে মানুষ ক্ষুদ্র স্বার্থোদ্ধারে অন্ধ হয়ে পড়ে যে, পরের অমঙ্গল ও অনিষ্ট করতে গিয়ে স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে এবং পরিণামে নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনে। তাই কখনো অপরের কোনো অকল্যাণ চিন্তা করা যাবে না। এসব পরিহার করে বরং পরের স্বার্থে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে হবে। তবেই জীবন সার্থক ও সুন্দর হবে।
মন্তব্য: কখনো অপরের কোনো অকল্যাণ চিন্তা করা যাবে না। এসব পরিহার করে বরং পরের স্বার্থে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে হবে। তবে জীবন সার্থক ও সুন্দর হবে ।