হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

প্রোক্যারিওটা ও ইউক্যারিওটা: সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য

সুগঠিত নিউক্লিয়াসবিহীন কোষকে প্রোক্যারিওটা বলে । এদের নিউক্লিয়াসে ক্রোমাটিন দানা থাকে। এতে সাধারণত রাইবোসোম ছাড়া অন্য কোনো কোষীয় অঙ্গাণু থাকে না। কোষ বিভাজন অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে ঘটে । যেমন— ব্যাকটেরিয়ার কোষ ।

সুগঠিত নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষকে ইউক্যারিওটা বলে । এদের নিউক্লিয়াসে ক্রোমোসোম থাকে। এতে রাইবোসোমসহ সব ধরনের কোষীয় অঙ্গাণু থাকে। কোষ বিভাজন মাইটোসিস পদ্ধতিতে ঘটে। যেমন— উন্নত জীবের কোষ ।

প্রোক্যারিওটা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য :

  • কোনো সুনির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে না ।
  • এরা এককোষী, আণুবীক্ষণিক ও আদিকোষী জীব ।
  • ছাড়া অন্য কোনো সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু নেই ।

ইউক্যারিওটা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য :

  • সুনির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস বিদ্যমান ।
  • এরা প্রকৃতকোষী জীব (এককোষী বা বহুকোষী)।
  • বিভিন্ন ধরনের সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু বিদ্যমান ।

আরও পড়ুন : আদিকোষ এবং প্রকৃতকোষের সংজ্ঞা, পার্থক্য, বৈশিষ্ট ও উদাহরণ

প্রোক্যারিওটা ও ইউক্যারিওটা মধ্যে পার্থক্য :

প্রোক্যারিওটা ইউক্যারিওটা
১. সাধারণত এককোষী এবং সরল প্রকৃতির । ১. এককোষী হতে বহুকোষী এবং জটিল প্রকৃতির ।
২. নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার মেমব্রেন সুগঠিত হয়। ২. সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিদ্যমান ।
৩. রাইবোসোম ছাড়া অন্যান্য সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু অনুপস্থিত। ৩. রাইবোসোমসহ অন্যান্য সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু বিদ্যমান ।
৪. সাধারণত DNA বৃত্তাকার ও প্রান্তহীন । এতে প্রোটিনযুক্ত নেই। ৪. সাধারণত DNA রেখাকার ও প্রান্তবিশিষ্ট এতে প্রোটিনযুক্ত আছে
৫. কোষ বিভাজন অ্যামাইনোটোসিস প্রক্রিয়ায় হয়। ৫. কোষ বিভাজন মাইটোসিস ও মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় ঘটে।

প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবগুলোকে ইউক্যারিওটা বলা হয় কেন ?

প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবগুলোকে ইউক্যারিওট (প্রকৃতকোষ) বলা হয়। কারণ প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবগুলো এককোষী বা বহুকোষী হয়। এরা এককভাবে অথবা কলোনি আকারে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। এরা প্রকৃতকোষ অর্থাৎ নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA এবং প্রোটিন থাকে । কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে । মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় অযৌন জনন ঘটে থাকে। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবগুলোকে ইউক্যারিওট বলা হয়।

Leave a Comment