বিষমপৃষ্ঠ পাতার বৈশিষ্ট্য:
১. এ পাতা কাণ্ডের সাথে 90° কোণে অবস্থান করে ।
২. মেসোফিল টিস্যুকে প্যালিসেড এবং স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা টিস্যুতে বিভক্ত করা যায় ।
৩. ভাস্কুলার বাণ্ডল প্যারেনকাইমা বা স্ক্লেরেনকাইমা কোষের আবরণী দিয়ে পরিবেষ্টিত ।
৪. উর্ধ্ব বা নিম্ন এই উভয় ত্বকেই পত্ররন্ধ্র সমভাবে বিদ্যমান থাকে ।
৫. ভাস্কুলার বাণ্ডল সাধারণত এক রেখায় থাকে [কারণ শিরাবিন্যাস সমান্তরাল] ।
৬. ভাস্কুলার বাণ্ডল অনেকটা সম আকৃতির ।
৭. উদাহরণ = সকল একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতা [ব্যতিক্রম = কলা পাতা] ।
সমদ্বিপৃষ্ঠ পাতার বৈশিষ্ট্য :
১। উভয় ত্বকে পত্ররন্ধ্র বিদ্যমান ।
২। ভাস্কুলার বান্ডল গুলো বড় ও ছোট দুই রকমের এবং এরা প্রায় সরল রেখায় সাজানো
৩। উর্ধ্ব ও নিম্নত্বক প্রায় একই ধরণের
বিষমপৃষ্ঠ পাতা ও সমদ্বিপৃষ্ঠ পাতার পার্থক্য :
বিষমপৃষ্ঠ পাতা | সমদ্বিপৃষ্ঠ পাতা |
---|---|
১. মেসোফিল টিস্যুকে প্যালিসেড এবং স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা টিস্যুতে বিভক্ত করা যায় । | ১. মেসোফিল টিস্যুকে প্যালিসেড ও স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা টিস্যুতে বিভক্ত করা যায় না । |
২. ভাস্কুলার বান্ডল প্যারেনকাইমা বা স্ক্লেরেনকাইমা কোষের আবরণী দিয়ে পরিবেষ্টিত। | ২. ভাস্কুলার বান্ডল স্কেরেনকাইমা কোষের আবরণী দিয়ে পরিবেষ্টিত । |
৩. পত্ররন্ধ্র সাধারণত নিম্নত্বকে থাকে । | ৩.ঊর্ধ্ব বা নিম্ন এই উভয় ত্বকের পত্ররন্ধ্র সমভাবে বিদ্যমান থাকে । |
৪. ভাস্কুলার বান্ডল সাধারণত বিক্ষিপ্ত থাকে [কারণ শিরাবিন্যাস জালিকা] । | ৪. ভাস্কুলার বান্ডল সাধারণত এক রেখায় থাকে [কারণ শিরাবিন্যাস সমান্তরাল] |
৫. ভাস্কুলার বান্ডল অসম আকৃতির । | ৫. ভাস্কুলার বান্ডল অনেকটা সমআকৃতির। |
৬. ভাস্কুলার বান্ডল এর আবরণী বা বান্ডল সিথ এর কোষগুলোতে ক্লোরোপ্লাষ্ট থাকে না । | ৬. ভাস্কুলার বান্ডল এর আবরণী বা বান্ডল সিথ এর কোষগুলোতে ক্লোরোপ্লাষ্ট থাকে । |
৭. উর্ধ্ব ও নিম্ন ত্বকে সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে। | ৭. উর্ধ্ব ও নিম্ন ত্বকে প্রায় একই ধরণের। |