হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

মূল ও কান্ডের- বৈশিষ্ট্য, গুরত্ব ও পার্থক্য

মূল ও কান্ডের বৈশিষ্ট্য :

মূলের বৈশিষ্ট্য _

  • ভাস্কুলার বান্ডল সব সময়ই অরীয়।
  • মূলত্বকের বাইরে কিউটিকল থাকে না ।
  • মূলরোম এককোষী।
  • কর্টেক্স তুলনামূলক ভাবে বড় ।
  • জাইলেম এক্সার্ক ।
  • পত্ররন্ধ্র থাকে না ।

কান্ডের বৈশিষ্ট্য _

  • কাণ্ড ভ্রূণ কাণ্ডের বৃদ্ধি প্রাপ্ত, বিকশিত রূপ।
  • পর্ব ও মধ্যপর্ব আছে।
  • কাণ্ডের শাখা প্রশাখা বহির্জনিষ্ণু অঞ্চল হতে সৃষ্টি হয় ।

মূল ও কান্ডের গুরুত্ব :

মূলের গুরুত্ব :

১. পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে এবং অভ্যন্তরীণ অংশকে রক্ষা করে ।

২. জেনারেল কর্টেক্স পাতলা প্রাচীরযুক্ত অনেক সারি প্যারেনকাইমা কোষ দিয়ে গঠিত। যা উদ্ভিদের খাদ্য সঞ্চয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. মূলের অন্তঃত্বক কর্টেক্স হতে পরিচক্রকে পৃথক করে এবং সম্ভবত পানি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে ।

৪. পরিচক্রের মাধ্যমে নাইট্রোজেন জাতীয় খাদ্য ছাড়া অন্যান্য খাদ্য সঞ্জয় করে।

৫. মূলের মজ্জারশ্মি পরিচক্র ও মজ্জার মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে।

কাণ্ডের গুরুত্ব :

১. কাণ্ডের বহিঃত্বক অভ্যন্তরীণ অংশকে রক্ষা করে। এর পানির অপচয় রোধ করে।

২. হাইপোডার্মিস কাণ্ডের দৃঢ়তা প্রদান করে ।

৩. গ্রাউন্ড টিস্যু খাদ্য সঞ্চয় করে এবং পরিবহন টিস্যু গুচ্ছ ধারণ করে।

৪. কাণ্ডের জাইলেম পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করে।

৫. ফ্লোয়েম প্রস্তুতকৃত খাদ্য পরিবহন করে।

পরিশেষে বলা যায় যে, উদ্ভিদ জীবনে মূল ও কাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূল ও কাণ্ড ছাড়া উদ্ভিদ জীবন কল্পনা করা যায় না ।

মূল ও কান্ডের মধ্যে পার্থক্য :

মূল কাণ্ড
১। মূলে সর্বদাই এককোষী মূলরোম থাকে। ১। কাণ্ডে কাণ্ডরোম থাকে
(i) একবীজপত্রীর ক্ষেত্রে কাণ্ডরোম থাকে না।
(ii) দ্বিবীজপত্রীর ক্ষেত্রে বহুকোষী কাণ্ডরোম থাকে ।
২। মূলে কিউটিকল থাকে না । ২। কাণ্ডে কিউটিকল থাকে।
৩। মূলে অধঃত্বক থাকে না । ৩। কাণ্ডে অধঃত্বক থাকে
(i) একবীজপত্রী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে স্ক্লেরেনকাইমা দ্বারা গঠিত ।
(ii) দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোলেনকাইমা দ্বারা গঠিত।
৪। সর্বদাই অন্তঃত্বক থাকে । ৪। অন্তঃত্বক থাকে / থাকে না
(i) একবীজপত্রীতে থাকে না ।
(ii) দ্বিবীজপত্রীতে থাকে ।
৫। সর্বদাই ১ স্তরযুক্ত। ৫। পরিচক্র থাকে /থাকে না
(i) একবীজপত্রীতে থাকে না ৷
(ii) দ্বিবীজপত্রীতে থাকে (বহুস্তরযুক্ত)
৬। পরিবহন কলাতন্ত্র অরীয়
(i) একবীজপত্রী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ছয়ের অধিক পরিবহন কলাতন্ত্র থাকে।
(ii)দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে দুই থেকে চারটি পরিবহন কলাতন্ত্র থাকে।
৬। পরিবহন কলাতন্ত্র সংযুক্ত, সমপার্শ্বীয়, মুক্ত, বদ্ধ।
৭। মূলত্বকে সাধারণত স্টোমাটা থাকে না । ৭। কান্ডত্বকে সাধারণত স্টোমাটা থাকে ।
০৮। অন্তঃত্বক বিদ্যমান এবং বৃত্তাকার। কোষের পার্শ্ব প্রাচীর স্কুল । ৮। অন্তঃত্বক থাকবে (একবীজপত্রী উদ্ভিদকান্ডে অনুপস্থিত) সাধারণত ঢেউ খেলানো। কোষের পার্শ্ব প্রাচীর স্থুল নয়।
৯। মেটাজাইলেম কেন্দ্রের দিকে এবং প্রোটোজাইলেম পরিধির দিকে থাকে। (এক্সার্ক-ধরনের) ৯। মেটাজাইলেম পরিধির দিকে এবং প্রোটোজাইলেম কেন্দ্রের দিকে থাকে। (এন্ডার্ক-ধরণের)

Leave a Comment