আমার প্রিয় ঋতু (বসন্ত /বর্ষাকাল) রচনা – Class 2, 3, 4, 5

আমার প্রিয় ঋতু – বসন্তকাল 

সূচনা

বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয়। শীত ও গ্রীষ্মের সন্ধিক্ষণে বসন্তের আবির্ভাব। না শীত, না গরম, এই নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে বসন্তের আগমন। বসন্ত আমার প্রিয় ঋতু ।

স্থায়িত্ব

কোকিলের কুহুতানে শীতের পরেই আসে বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস বসন্তকাল। কিন্তু শীত না কাটতেই শুরু হয় গ্রীষ্ম, চৈত্রের মাঝামাঝিতেই প্রকৃতির অসহ্য খরায় এই সুন্দর ঋতুটি হারিয়ে যায়। সুতরাং বসন্তের স্থায়িত্বকাল সামান্য ।

বর্ণনা  

নতুন কুঁড়ি নতুন ফুলের ঋতু বসন্ত। বসন্ত দূত কোকিলের সুমিষ্ট সুরের অন্য নাম বসন্ত। বসন্তের স্বচ্ছ আলো এক অনাবিল নতুন দিনের সন্ধান দেয়। আকাশ নির্মল ও মেঘমুক্ত থাকে। ভোরের দক্ষিণা হাওয়া ও কোকিলের গান আমাদের বিপুল আনন্দ দেয়। 

দুর্বার ডগায় ডগায় ফুলের সমারোহ। আমের বন আমোদিত হয়ে ওঠে ফুলের সুবাসে। গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে ওঠে অলিফুল, প্রজাপতি যেন ফুল হয়। রঙিন সাজে উড়ে বেড়ায় ফুলে ফুলে। মৃদু দক্ষিণা সমীরণ কতই না মধুর, কতই না আনন্দদায়ক। 

আরও পড়ুন :- শীতকাল – রচনা Class 3, 4, 5

উপসংহার  

সুইজারল্যান্ড এর মতো বাংলাদেশে সারাটি বছর বসন্ত থাক মন তাই চায় অথচ তা থাকে না। যৌবনে টইটুম্বুর বসন্ত প্রকৃতি আমার খুব প্রিয়।

আমার প্রিয় ঋতু – বর্ষাকাল

ভূমিকা  

ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দু’মাস পর পর প্রতিটি ঋতু নতুন সাজে হাজির হয় । গ্রীষ্মের পরেই আসে বর্ষা। এটি বছরের দ্বিতীয় ঋতু। 

ঋতর বর্ণনা  

বর্ষায় আকাশ সবসময় কালো মেঘে ঢাকা থাকে, একটানা বৃষ্টি হয়। কখনো মুষলধারে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি। মাঝে মাঝে বিজলি চমকায়। মেঘ ডাকে, বজ্র পড়ে। তখন সূর্যের মুখ দেখা যায় না । চারদিক অন্ধকারে ছেয়ে যায়। দিনের বেলায়ই যেন রাত নেমে আসে । 

Advertisement Advertisement

বিশেষ বৈশিষ্ট্য  

বর্ষায় পল্লি প্রকৃতি নতুন রূপ ধারণ করে। নতুন পানিতে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ডোবা ভরে যায়। গাছপালা, তৃণলতা সতেজ হয়ে ওঠে। চারদিকে পানি থৈ থৈ করে । গ্রামগুলোকে এক-একটি ছোট্ট দ্বীপের মতো মনে হয়। কৃষকেরা মাঠে মাঠে কাজ করে। জেলেরা মাছ ধরে । মাঝিরা মনের সুখে গান করে আর নৌকা বায় । 

আরও পড়ুন :–  বর্ষাকাল – রচনা : ক্লাস 3, 4, 5

ভালো লাগার কারণ  

বর্ষায় প্রকৃতি তার সকল সৌন্দর্য ঢেরে দিয়ে সজ্জিত হয় নতুন সাজে। এ সময় বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রকৃতিতে নতুন জোয়ার আসে। ফুলে ফলে সজ্জিত হয় চারদিক। চারদিক পানিতে থৈ থৈ করে। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্যের কারণেই বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু ।

সুবিধা  

বর্ষা আমাদের নানা উপকার করে। চাষাবাদের জন্য বর্ষাকাল বিশেষ উপযোগী। এতে জমির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি পায়। ভালো ফসল জন্মে। গাছপালা নতুন কুঁড়ি মেলে। বর্ষার পানি চারদিকের ময়লা আবর্জনা ভাসিয়ে নেয়। এ ঋতুতে নৌপথে চলাচল সুবিধাজনক । 

উপসংহার  

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিকাজের জন্য বৃষ্টির বেশ প্রয়োজন। বর্ষার পানির ফলে জমিতে পলি জমে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই পরিমিত বর্ষা আমাদের জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment

Advertisement Advertisement
error: Content is protected !!