রচনা : বাংলাদেশের নদ নদী (Class 2, 3, 4, 5)

ভূমিকা :- 

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের বুকের ওপর জালের মতো ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় অসংখ্য নদ-নদী ।

বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদী :- 

পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও কর্ণফুলি বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদী।

পদ্মা :- 

উত্তর ভারতের হিমালয়ের গঙ্গোত্রী নামক হিমবাহ হতে উৎপত্তি হয়ে ভারতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে এসে পদ্মা নাম ধারণ করে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। ভারতের অংশটুকুর নাম গঙ্গা ।

মেঘনা :- 

মেঘনা নদী নাগা-মনিপুর জলবিভাজিকা থেকে উৎপন্ন হয়ে সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে পদ্মা ও যমুনার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামেই বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

যমুনা :- 

যমুনা বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান নদী। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদী। এটি উৎপত্তিস্থল থেকে দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে গোয়ালন্দের কাছে পদ্মার সাথে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। 

ব্রহ্মপুত্র :- 

হিমালয় পর্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের একটা হিমবাহ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং রংপুর জেলার কুড়িগ্রামের কাছে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। 

আরও পড়ুন :- বাংলাদেশের ষড়ঋতু - রচনা : ক্লাস 3, 4, 5

কর্ণফুলী :- 

কর্ণফুলি বাংলাদেশের অন্যতম খরস্রোতা নদী। এটা লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

নদীর উপকারিতা :- 

নদী আমাদের অনেক উপকার করে। আমরা নদীর পানি পান করি এবং গোসল করি। খরা মৌসুমে নদী থেকে জলসেচের দ্বারা শস্য উৎপাদন করা হয়।

নদীর অপকারিতা :- 

নদী আমাদের কিছুটা অপকারও করে থাকে। অতিবর্ষণ হলে কোনো কোনো নদীতে বন্যা হয় । এছাড়া নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর অসংখ্য পরিবারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন হতে হয়। 

উপসংহার :- 

নদ-নদীর অবদানেই আমাদের এ বাংলাদেশ হয়েছে সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা তাই এদেশের মাটি, মানুষ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সঙ্গে নদ-নদীর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।

Post a Comment

0 Comments