সংজ্ঞা :- যাদের জীবন আছে, জৈবিক কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারে এবং প্রজননের মাধ্যমে নিজের অনুরূপ জীবের জন্ম দিয়ে থাকে ও বংশ সংরক্ষণ করতে পারে তাদেরকে জীব বলে । যেমন : উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবের অন্তর্ভুক্ত ।
জীবের প্রকারভেদঃ
জীব সাধারণত ২প্রকার। যথাঃ
১। উদ্ভিত।
২। প্রাণী।
জীবের সাধারণ বৈশিষ্ট্য :-
প্রতিটি জীবের কতকগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ সব বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে জীব থেকে জড় আলাদা করা যায় । নিম্নে জীবের কতকগুলো সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেয়া হল :
১। প্রোটোপ্লাজম (Protoplasm) :-
প্রতিটি জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। কোষের মূল গঠন উপাদান প্রোটোপ্লাজম প্রোটোপ্লাজম হল কোষের ভেতরে অবস্থিত জেলির ন্যায় এক প্রকার অর্ধতরল, পিচ্ছিল, স্বচ্ছ সজীব ও জটিল জৈব রাসায়নিক পদার্থ। বিজ্ঞানী হাক্সলির মতে, “প্রোটোপ্লাজমই হচ্ছে জীবনের ভৌত ভিত্তি।”
২। শ্বসন (Respiration) :-
প্রতিটি জীব শ্বসন প্রক্রিয়ায় কোষের মধ্যকার জটিল খাদ্যকে ভেঙ্গে শক্তি উৎপাদন করে এবং তা জৈবিক কার্যে ব্যবহার করে। জীব বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং এই অক্সিজেন জৈব খাদ্যকে ভেঙ্গে তাপ শক্তি নির্গত করে ও উপজাত হিসেবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে ।
৩। পুষ্টি (Nutrition) :-
প্রতিটি জীব তার জীবন ধারনের জন্য এবং জৈবিক কার্যাদি সম্পন করার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তা সংগ্রহের জন্য খাদ্যগ্রহণ করে থাকে। পুষ্টির মাধ্যমে সেসব খাদ্য পরিপাক ক্রিয়ার ফলে সহজ ও সরল উপাদানে পরিণত হয়ে দেহে শোষিত হয়। এ শক্তি স্থিতিশক্তি হিসেবে দেহে সঞ্চিত থাকে ।
আরও পড়ুন :- জীববিজ্ঞান কাকে বলে? জীববিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা
৪। রেচন (Excretion) :-
দেহে বিপাক ক্রিয়ার ফলে দেহকোষে যে বর্জ্য পদার্থ জমা হয় তা রেচন প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে অপসারিত হয়ে দেহকে সুস্থ রাখে। কখনও কখনও উদ্ভিদ দেহের বর্জ্য পদার্থ অদ্রাব্য বস্তু হিসেবে উদ্ভিদকোষে সঞ্চিত থাকে ।
৫। চলাচল (Locomotion) :-
প্রতিটি জীব আপন শক্তি বলে চলাফেরা করতে পারে বা বৃদ্ধি পেতে সক্ষম। উদ্ভিদ চলাফেরা না করতে পারলেও বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাছাড়া উদ্ভিদ দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং উদ্ভিদের বংশ বিস্তার ঘটায় ।
৬। বৃদ্ধি (Growth) :-
প্রতিটি জীব তার প্রোটোপ্লাজমের সহায়তায় দেহের বিকাশ ও দৈহিক বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে।
৭। উদ্দীপনা (Irritability) :-
সব ধরনের সাড়া দেয়া জীবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
৮। বংশ বিস্তার (Reproduction) :-
প্রতিটি জীব তার বংশ রক্ষার জন্য প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে ।
৯। আকার ও আয়তন (Shap and dimension) :-
কিছু নিম্ন শ্রেণীর জীব ছাড়া অধিকাংশ জীবেরই নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে।