ইসলামের অন্যতম তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে রোজা। আর এ রোজা পালিত হয় রমজান মাসে। রমজানের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। নিম্নে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রমজানের উল্লেখযোগ্য কতিপয় ফজিলতের বর্ণনা তুলে ধরা হলো। যেমন-
১. রমযানের আগমনে আল্লাহর রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।
যেমন হাদীসে এসেছে- إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِحَتْ أَبْوَابُ الرحمةِ
২. রমযানের আগমনে আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। যেমন
হাদীসে এসেছে- إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاء
৩. রমযানের আগমনে জান্নাতের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয়। যেমন
হাদীসে এসেছে- إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ .
৪. রমযানের আগমনে জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়।
যেমন হাদীসে এসেছে- إذَا جَاءَ رَمَضَانُ غَلِقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ
৫. রমযানের রোযা পালনের মাধ্যমে অতীতের গুনাহসমূহের ক্ষমা পাওয়া যায়।
যেমন হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে- مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيْمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه .
৬. রমযানের রোযা পালনের মাধ্যমে ক্ষুধার তীব্র পীড়নে জর্জরিত গরিবদের প্রতি ধনীদের অন্তরে বেদনার অনুভূতি জাগ্রত হয় ।
৭. রমযান হলো কুরআন নাযিলের মাস। কুরআনের আলোকে সমাজ বিনির্মাণের প্রেরণা যোগায় পবিত্র মাহে রমযান ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন- شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِى أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَات مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَان .
৮. রমযান স্রষ্টার সান্নিধ্যলাভের অন্যতম মাধ্যম।
৯. রমযান ব্যক্তিকে পাপাচার ও অবাঞ্চিত কাজ হতে বিরত রাখে।
১০. রমযান রোযাদারকে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে অনুপ্রাণিত করে।
১১. রমযান মাস মানসিক প্রশান্তিলাভের অন্যতম একটি মাস।
১২. রমযান রোযাদারকে যাবতীয় কুটিলতা, মলিনতা ও গুনাহ থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে স্বচ্ছ ও শুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে ।