রচনা : বাংলাদেশের প্রাণিজগত

ভূমিকা : 

পৃথিবীর সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে অসংখ্য জাতের প্রাণী। বাংলাদেশেও অনেক ধরনের প্রাণী বাস করে।

বাংলাদেশের প্রাণী প্রজাতি : 

বাংলাদেশে বনভূমি, নদী, খালবিল ও সাগরে বাস করে অনেক রকমের পশু-পাখি এবং জলজ প্রাণী । এছাড়া মানুষের গৃহে বা তার আশেপাশেও নানা প্রজাতির প্রাণী বাস করে। 

বাংলাদেশের প্রাণিজগতের ধরন : 

বাংলাদেশের প্রাণিজগৎ মূলত দুই ধরনের। বন্যপ্রাণী ও গৃহপালিত প্রাণী। এই দুই ধরনের প্রাণীর মধ্যেই রয়েছে কিছু পশু এবং কিছু পাখি ।

বন্যপ্রাণী :  

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বাংলাদেশের সুন্দরবন। এ বনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাণী আমাদের জাতীয় পশু বাঘ। রাজসিক সৌন্দর্যের কারণে একে ডাকা হয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলে। এ ছাড়া সুন্দরবনে হরিণ, বানর, শূকর, সাপ এবং বক, মাছরাঙাসহ বহু পাখি পাওয়া যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে রয়েছে পাহাড়ি বনাঞ্চল। সেখানে হাতি, বানর, হরিণ, সাপ, উল্লুক ও অনেক প্রজাতির পাখি দেখা যায় । 

আরও পড়ুন : রচনা : বাংলাদেশের নদ নদী (Class 2, 3, 4, 5)

গৃহপালিত প্রাণী: 

গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, কুকুর, বিড়াল, ঘোড়া ইত্যাদি গৃহপালিত পশু। আর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গৃহপালিত পাখি হলো হাঁস, মুরগি, তিতির, কবুতর ইত্যাদি ।

এছাড়া বাংলাদেশে কিছু জলজ প্রাণী বাস করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমির, সাপ, ঘড়িয়াল, গুইসাপ, শুশুক, কচ্ছপ, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ইত্যাদি।

উপকারিতা : 

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গৃহপালিত প্রাণীর ডিম, দুধ, মাংস আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগায়। আবার পর্যটনশিল্প এগিয়ে নিতে বন্যপ্রাণীর বড় ভূমিকা রয়েছে। 

উপসংহার: 

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রাণিসম্পদ। বর্তমানে বন, পাহাড় ধ্বংস এবং নদীনালা ভরাট ও দূষিত হওয়ায় অনেক প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাণিজগৎকে রক্ষা করতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad