প্রাদি সমাস : প্র, প্রতি, অনু প্রভৃতি অব্যয়ের সঙ্গে যদি কৃৎ প্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস হয়, তবে তাকে প্রাদি সমাস বলে।
(toc) Table Of Contens
প্রাদি সমাসের উদাহরণ :
- প্র (প্রকৃষ্ট) যে ভাত = প্রভাত
- বস্তু থেকে উৎখাত = উদ্বাস্তু
- উৎ (অতিক্রান্ত) সর্গ যা = উৎসর্গ
- সু (শোভন) হৃদয় যার = সুহৃদয়
- প্র (প্রকৃষ্ট) যে ভাব = প্রভাব
- প্র যে বচন = প্রবচন
- পরি যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ
- শৃঙ্খল থেকে অতিক্রান্ত = উচ্ছৃঙ্খল
- অভিগত মুখ = অভিমুখ
- উদগত নিদ্ৰা = উন্নিদ্র
- উদগত কেন্দ্র = উৎকেন্দ্র
- উদগত শৃঙ্খলকে = উচ্ছৃঙ্খল
- উদগত বেলাকে = উদ্বেল
- কু (কুৎসিত) পুরুষ = কাপুরুষ
- (প্র) প্রকৃষ্ট ভাত (জ্যোতি) = প্রভাত
- প্ৰ (প্ৰকৃষ্ট) গতি = প্রগতি
নিত্য সমাস :
নিত্য সমাস : যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো সর্বদা সমাসবদ্ধ থাকে, তাকে নিত্য সমাস বলে। এ সমাসে সমাস নির্ণয়ে ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না। ব্যাসবাক্যের স্থলে শুধুমাত্র অর্থ প্রকাশ করা যায় ।
নিত্য সমাসের উদাহরণ :
- অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর
- কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র
- অন্য হস্ত = হস্তান্তর
- অন্য দেশ = দেশান্তর
- অন্য বিষয় = বিষয়াত্তর
- সমস্ত গ্রাম = গ্রামশুদ্ধ
- বেলাকে অতিক্রান্ত = উদ্বেল
- একটি কাপড় = কাপড়খানা
আরও পড়ুন : দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে? উদাহরণ সহ বিস্তারিত
সুপসুপা সমাস :
সুপসুপা বা সহসুপা সমাস : সুপ অর্থ বিভক্তি। অর্থাৎ বিভক্তিযুক্ত একটি নামপদের সাথে বিভক্তিযুক্ত আরেকটি পদের সমাস হলে, তাকে সুপসুপা বা সহস্রপা সমাস বলে।
সুপসুপা সমাসের উদাহরণ :
- রাত্রির মধ্য = মধ্যরাত
- রাত্রির পূর্ব = পূর্বরাত
- পর রাত্র = পররাত্র
- পরম পূজ্য = পরমপূজ্য
- পূর্বে ভূত = ভূতপূর্ব
সমস্যমান পদ, ব্যাসবাক্য, সমস্ত পদ :
সমস্যমান পদ : যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেককে সমস্যমান পদ বলে। যেমন- সিংহ চিহ্নিত যে আসন = সিংহাসন। এখানে সিংহ, আসন এগুলো সমস্যমান পদ ।
ব্যাসবাক্য : সমস্ত পদ বা সমাসবদ্ধ পদের অর্থ বোঝানোর জন্য পদটিকে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করলে যে বাক্যটি তৈরি হয় তাকে ব্যাসবাক্য বলে । যেমন- বালিকাদের বিদ্যালয় = বালিকা বিদ্যালয়। এখানে ‘বালিকাদের বিদ্যালয়’ অংশটি ব্যাসবাক্য।
সমস্ত পদ : একাধিক পদ মিলে সমাস হিসেবে যে পদটি গঠিত হয়, তাকে সমস্ত পদ বলে। যেমন- ভাইয়ের পো = ভাইপো। এখানে ‘ভাইপো’ পদটি সমস্ত পদ ৷