উসূলুশ শাশী গ্রন্থটি আল্লামা নিযামুদ্দীন শাশী (র)-এর এক অমর কৃতি। এ গ্রন্থটি বিশ্বমুসলিমের নিকট তাকে বিশেষভাবে পরিচিত করে তুলেছে। এটি সহজ, সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত। নিম্নে প্রশ্নালোকে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।
উসুলুশ শাশী গ্রন্থের কতিপয় বৈশিষ্ট্য :
নামকরণ : আল্লামা শাশী রচিত গ্রন্থটির নামেও বৈচিত্র্য রয়েছে। গ্রন্থকার এ কিতাবটি রচনা করে এর নামকরণ করেন- الْكِتَابُ الْخَمْسِينَ فِى أُصُوْلُ ٱلْـحَنَفِيَّةِ কেননা এ কিতাবখানি তিনি পঞ্চাশ বছরে পদার্পণ করার পর রচনা করেন। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি মাত্র পঞ্চাশ দিনে এ কিতাবটি রচনা করেন বিধায় একে الْخَمْسِينَ নামে নামকরণ করেন। পরবর্তীতে তাঁর জন্মস্থানের দিকে নিসবত করে এর নামকরণ করা হয় উসুলুশ শাশী বলে।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্যাবলি
- এটি হানাফী মাযহাবের উসূল সম্পর্কিত গ্রন্থ।
- দীর্ঘও নয় সংক্ষিপ্তও নয় ।
- সহজবোধ্য শব্দাবলির ব্যবহার।
- সাবলীল বাচনভঙ্গী ।
- এ কিতাবটিতে হানাফী ও শাফেয়ী মাযহাবের অধিকাংশ বিতর্কিত মাসয়ালাকে যুক্তির কষ্টিপাথরে ভালোভাবে যাচাই বাছাই করার পর উপস্থাপন করা হয়েছে, যা পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এমনকি দীর্ঘকাল যাবৎ এ গ্রন্থখানি মাদরাসাসমূহের পাঠ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত, যা আজও বিদ্যমান।
আরো পড়ুন : উসূলুশ শাশী গ্রন্থকারের জীবনী
ব্যাখ্যাগ্রন্থ : উসূলুশ শাশী কিতাবের অনেকগুলো ব্যাখ্যাগ্রন্থ রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নে প্রদত্ত হলো-
- সর্বপ্রথম এ কিতাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেন হিজরী ৭৮০ সালে মুহাম্মদ ইবনে হাসান খারেযমী । যিনি শামসুদ্দীন শাশী নামে পরিচিত।
- আহসানুল হাওয়াশী আলা উসূলুশ শাশী- মাওলানা বরকতুল্লাহ ইবনে আহমাদুল্লাহ ইবনে নিয়ামতুল্লাহ লখনুবী (র)।
- ওমদাতুল হাওয়াশী- মাওলানা ফয়জুল হাসান ইবনে ফখরুল হাসান গাঙ্গুহী (র) ।
- ফুসূলুল হাওয়াশী আলা উসূলিশ শাশী ।
- নূরুল হাওয়াশী শরহে উসূলুশ শাশী। (আরবি-বাংলা)
- ঈযাহুল হাওয়াশী। (আরবি-বাংলা)
- যুবদাতুল হাওয়াশী। (আরবি-বাংলা)
- আজমালুল হাওয়াশী শরহে উসূলুশ শাশী।