হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

প্রোথ্যালাস কি? ফার্ন প্রোথ্যালাস এর বৈশিষ্ট্য ও গঠন

সংজ্ঞা : টেরিডোফাইটার লিঙ্গধর বা গ্যামেটোফাইটিক উদ্ভিদকে প্রোথ্যালাস বলে। প্রোথ্যালাস সবুজ, বহুকোষী, স্বাধীন ও স্বভোজী উদ্ভিদ ।

প্রোথ্যালাস এর গঠন :

স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদের (Pteris) স্পোর মাতৃকোষ হতে হ্যাপ্লয়েড স্পোর উৎপন্ন করে। স্পোর বা রেণু হলো গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ । হ্যাপ্লয়েড স্পোর অনুকূল পরিবেশে কোনো আর্দ্র বস্তুর সংস্পর্শে আসলে অঙ্কুরিত হয় এবং ক্রমাগত মাইটোটিক বিভাজনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডাকার সবুজ আস্তর সৃষ্টি করে। এটি ফার্নের গ্যামেটোফাইট। হূৎপিণ্ডাকার এ গ্যামেটোফাইটকে প্রোথ্যালাস বলা হয় । প্রোথ্যালাসের নিম্ন পৃষ্ঠের নিম্নাংশ হতে অনেক রাইজয়েড উৎপন্ন হয়।

আরও শিখুন : মস ও ফার্ন : সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য এবং পার্থক্য

রাইজয়েডগুলো প্রোথ্যালাসকে মাটির সাথে সংযুক্ত করে এবং মাটি হতে প্রোথ্যালাসকে খাদ্য সরবরাহ করে। প্রোথ্যালাসের উপরের দিকে একটি গভীর খাঁজ আছে। একে অগ্রস্থ খাঁজ বলে । প্রোথ্যালাস সবুজ বর্ণের বহুকোষী স্বতন্ত্র ও স্বভোজী উদ্ভিদ। প্রোথ্যালাস উভলিঙ্গ অর্থাৎ একই দেহে পুং ও স্ত্রী জননাঙ্গ অবস্থান করে। প্রোথ্যালাসের অঙ্কীয় দেশে খাঁজের কাছে স্ত্রী জননাঙ্গ এবং রাইজয়েডের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় পুংজননাঙ্গ উৎপন্ন হয় ।

ফার্ন প্রোথ্যালাসের বৈশিষ্ট্য :

  • এটি দেখতে হৃৎপিণ্ডাকার ও উপরে নিচে চাপা ।
  • এটি ফার্নের গ্যামেটোফাইটিক (n) পর্যায় ।
  • এটি বহুকোষী, স্বাধীন, স্বভোজী ও সবুজ বর্ণের।
  • এর নিম্নাংশ থেকে রাইজয়েড উৎপন্ন হয় ।
  • এটি উভলিঙ্গ অর্থাৎ একই দেহে পুংজননাঙ্গ ও স্ত্রী জননাঙ্গ অবস্থান করে ।

ফার্নের প্রোথ্যালাসকে সহবাসী বলা হয় কেন?

সাধারণত আমরা জানি যে ফার্নের প্রোথ্যালাসে যৌন জনন সম্পন্ন হয়। প্রোথ্যালাসের অঙ্কীয়তলে খাঁজের কাছে স্ত্রীজননাঙ্গ বা আর্কিগোনিয়া এবং রাইজয়েডের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় পুংজননাঙ্গ বা অ্যান্থেরিডিয়া উৎপন্ন হয়। তাই ফার্নের প্রোথ্যালাসকে সহবাসী বলা হয় ।

আরও শিখুন : মসবর্গীয় ও ফার্নবর্গীয় উদ্ভিদ কাকে বলে?বৈশিষ্ট্য, উদাহরণ

Leave a Comment