সংজ্ঞা : পরীক্ষাগারে যে সকল পদার্থ বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না এবং সংরক্ষণ করা যায় না, বায়ুর উপাদান দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হয় এবং দ্রবণের ক্ষেত্রে ঘনমাত্রা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় তাদেরকে সেকেন্ডারি পদার্থ বলে। যেমন : KMnO4, H2SO4 ইত্যাদি।
সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কি কি উদাহরণ :
- H2SO4
- NaOH
- KOH
- Na2S2O3.5H2O
- KMnO4, H2SO4
- HCI
আরও পড়ুন : প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ- সংজ্ঞা, উদাহরণ, চেনার উপায়, বৈশিষ্ট্য
সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্য :
- বিশুদ্ধ অবস্থায় একে প্রস্তুত করা যায় না ।
- বায়ুর সংস্পর্শে এটি অপরিবর্তনীয় না।
- ওজন নেওয়ার সময় রাসায়নিক নিক্তির ক্ষতি করে।
- প্রস্তুত করা দ্রবণ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত থাকে না।
সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ চেনার উপায় :
চেনার উপায় : আণবিক সংকেতে যার মধ্যে C বর্ণ নেই সেই সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ । ব্যতিক্রম– HCI
প্রাইমারী স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ |
---|
i. অনার্দ্র সোডিয়াম কার্বনেট Na2CO3 |
ii. পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট K2Cr2O7 |
iii. আর্দ্র অক্সালিক এসিড H2C2O4.2H2O |
iv. আর্দ্র সোডিয়াম অক্সালেট (Na2C2O4.2H2O) |
V. সাকসিনিক এসিড (HOOC-CH2-CH2-COOH) |
আরও পড়ুন : Na2CO3, K2Cr2O7 প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলা হয় কেন
সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ |
---|
i. সালফিউরিক এসিড (H2SO4) |
ii. সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) |
iii. পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) |
iv. পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO4) |
v. সোডিয়াম থায়োসালফেট (Na2S2O3) |
vi. হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCI) |
প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ পার্থক্য
প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ | সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ |
---|---|
১। এ পদার্থ গুলো বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন বিশুদ্ধ থাকে। | ১। এ পদার্থগুলো বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না এবং – সংরক্ষণ করলেও বিশুদ্ধ থাকে থাকে না । |
২। বায়ুর উপাদান CO2, O2 ও জলীয় বাষ্প দ্বারা প্রাইমারী স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ গুলো আক্রান্ত হয় না । | ২। অণুর উপাদান CO2, O2ও জলীয় বাষ্প দ্বারা সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড পদার্থগুলো আক্রান্ত হয়। |