হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

c3 ও c4 উদ্ভিদ কাকে বলে? এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য

c3 ও c4 উদ্ভিদ কাকে বলে ?

C3 উদ্ভিদ : যেসব উদ্ভিদে ক্যালভিন চক্রের সাহায্যে শর্করা তৈরি হয় এবং প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩ কার্বন বিশিষ্ট তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলে।

C4 উদ্ভিদ : যেসব উদ্ভিদে হ্যাচ ও স্ম্যাক চক্র এবং কেলভিন চক্র চলে তাদেরকে C4 উদ্ভিদ বলে।

C4. উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য :

১.এই উদ্ভিদের পাতার বান্ডল-সীথ (আবরণী) কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট আছে ।

২. বান্ডল-সীথের কোষগুলো ভাস্কুলার বান্ডলের সাথে অরীয়ভাবে অবস্থান করে ।

৩. বান্ডল-সীথ এর মধ্যে যে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, তাতে গ্রানা অনুপস্থিত কিন্তু মেসোফিল কোষে উন্নত ধরনের গ্রানা বিদ্যমান। যেমন-ইক্ষুর পাতা।

৪. এর মেসোফিল কোষে রাইবুলোজ বিসফসফেট কার্বক্সিলেজ এর কার্যকারিতা অনুপস্থিত।

৫. NADP ম্যালিক এনজাইমের উপস্থিতিতে বান্ডল সীথ ক্লোরোপ্লাস্টে C3-চক্র পরিচালনার প্রয়োজনীয় বিপাকীয় শক্তি NADPH + H+ উৎপাদিত হয়।

C3 ও C4 উদ্ভিদের পার্থক্য :

C3 উদ্ভিদ C4 উদ্ভিদ
১. উচ্চ তাপমাত্রায় খাপখাইয়ে নিতে সক্ষম নয় । ১. উচ্চ তাপমাত্রায় খাপখাইয়ে নিতে সক্ষম ।
২. পাতার শিরাকে পরিবেষ্টন করে অবস্থিত বান্ডলসীথ কোষ অপেক্ষাকৃত কম বলিষ্ঠ। ২. পাতার শিরাকে পরিবেষ্টন করে অবস্থিত বান্ডলসীথ কোষ অপেক্ষাকৃত বেশ বলিষ্ঠ।
৩. গঠনগতভাবে ক্লোরোপ্লাস্ট একই রকম । ৩. গঠনগতভাবে ক্লোরোপ্লাস্ট দুই রকমঃ i. গ্রানাযুক্ত মেসোফিল ক্লোরোপ্লাস্ট এবং ii. গ্রানাবিহীন বান্ডলশীথ ক্লোরোপ্লাস্ট ।
৬. ক্যালভিন চক্র মেসোফিল কোষে সম্পন্ন হয়। ৬. ক্যালভিন চক্র বান্ডলশীথ কোষে সম্পন্ন হয় ।
৭. পাতার বান্ডল সিথ কোষ ফটোসিনথেটিক নয় । ৭. পাতার বান্ডল সিথ কোষ ফটোসিনথেটিক ।
৮. মেসোফিল কোষে আলোক বিক্রিয়া এবং ক্যালভিন চক্র সম্পন্ন হয় । ৮. মেসোফিল কোষে আলোক বিক্রিয়া ঘটে ও CO2 সৃষ্টি হয়, কিন্তু বান্ডল সিথ কোষে ক্যালভিন চক্র সম্পন্ন হয়।

ক্যালভিন চক্র এবং হ্যাচ-স্ন্যাক চক্রের মধ্যে পার্থক্য:

ক্যালভিন চক্র হ্যাচ-স্ন্যাক চক্র
১. রাইবুলোজ ১,৫ বিসফসফেট হল CO2 এর প্রথম গ্রাহক । ১. ফসফোইনল পাইরুভিক অ্যাসিড হল CO2 এর প্রথম গ্রাহক ।
২. প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩- কার্বনবিশিষ্ট ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড। ২. প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪- কার্বনবিশিষ্ট অক্সালো অ্যাসিটিক অ্যাসিড ।
৩. প্রতি ক্লোরোপ্লাস্টে চলতে পারে । ৩. মেসোফিল ক্লোরোপ্লাস্ট ও বান্ডলশীথ ক্লোরোপ্লাস্ট- দুটিরই প্রয়োজন হয় ।
8. অধিক আলোর প্রখরতায় ক্যালভিন চক্র চলে না । ৪. অধিক আলোর প্রখরতায় হ্যাচ স্ন্যাক চক্র চলতে পারে ।
৫. প্রতি মিলিয়নে ৫০-১৫০ পরিমাণ CO2 থাকলে সালোকসংশ্লেষণ হয় । ৫. প্রতি মিলিয়নে নিম্নতম ০.১০ পরিমাণ CO2 থাকলেও সালোকসংশ্লেষণ হয় ।
৬. এ প্রক্রিয়ার জন্য পরিমিত বা অপটিমাম তাপমাত্রা হল ১০°-২৫° সে. । ৬. এ প্রক্রিয়ার জন্য অপটিমাম তাপমাত্রা হল ৩০°-৪৫°সে. ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!