হোম পদার্থ রসায়ন জীব ইসলামিক

পত্ররন্ধ্রের গঠন পর্যবেক্ষণ

পরীক্ষণ -: পত্ররন্ধ্রের গঠন পর্যবেক্ষণ

তত্ত্ব : উদ্ভিদের সবুজ পাতা বা কচি কাণ্ডের ত্বকে যে অতি ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে তাকে পত্ররন্ধ্র বলে। পত্ররন্ধ্র দুইটি বিশেষ আকৃতির রক্ষীকোষ দ্বারা আবৃত থাকে। ত্বকের কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট না থাকলেও রক্ষীকোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে ।

প্রয়োজনীয় উপকরণ : কচি সবুজ পাতা (আমপাতা), স্ক্যালপেল বা ব্লেড, গ্লাস স্লাইড ও কভার স্লিপ, অণুবীক্ষণ যন্ত্র, ১০% গ্লিসারিন দ্রবণ ।

পরীক্ষণ পদ্ধতি : কচি সবুজ পাতার নিচের তল থেকে ব্লেডের সাহায্যে একটি পাতলা পিলিং নিয়ে পরিষ্কার গ্লাস স্লাইডে এক ফোঁটা গ্লিসারিন দ্রবণের উপর স্থাপন করি। লক্ষ রাখতে হবে যাতে কোনো বাতাস না থাকে। এবার পিলিংটি সুবিধাজনকভাবে কেটে মোটা অংশটুকু বাদ দেই।

অবশিষ্ট পাতলা অংশটি এবারে কভার স্লিপ দিয়ে ঢেকে দেই। এভাবে নমুনাটি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রস্তুত করার পর অণুবীক্ষণ যন্ত্রের পর্যবেক্ষণ করি। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে পত্ররন্ধ্রের চিত্র আঁকি ও এর বৈশিষ্ট্যগুলো লিখি ।

পত্ররন্ধ্রের গঠন পর্যবেক্ষণ

বৈশিষ্ট্য :

১। পাতার ত্বকের কোষগুলো বড়, ক্লোরোপ্লাস্টবিহীন কিন্তু রক্ষীকোষ ছোট, বৃক্কাকার ও ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত।

২। রক্ষীকোষের কোষপ্রাচীর অসমভাবে পুরু ও রন্ধ্রের পাশে বেশি পুরু।

৩। দুইটি রক্ষীকোষ দ্বারা বেষ্টিত ক্ষুদ্রাকার রন্ধ্রপথই উপস্থিত।

৪। অণুবীক্ষণযন্ত্রে দৃষ্ট ছিদ্রগুলো বিক্ষিপ্তভাবে সজ্জিত ।

শনাক্তকরণ : রক্ষীকোষ দ্বারা আবৃত অবস্থায় পাতার নিম্নতলের ত্বকে রক্ষী কোষ দ্বারা পরিবেষ্টিত অসংখ্য ছিদ্রগুলোই হলো পত্ররন্ধ্র।

সাবধানতা :

১। পিলিংটি যেন পুরু না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

২। স্লাইডে যেন কোনো বাতাস প্রবেশ না করে, এর জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!