শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস হচ্ছে আল হাদীস। এটা মহানবী (স)-এর মুখনিঃসৃত বাণী এবং মহাগ্রন্থ আল কুরআনের নির্ভুল ব্যাখ্যা। কুরআন মাজীদ সহীহভাবে বুঝতে হলে আল হাদীসের ব্যাপক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। নিম্নে ইলমে হাদিসের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো ।
ইলমে হাদিসের গুরুত্ব :
১. আল্লাহ তায়ালার বাণীতে হাদীসের গুরুত্ব : আল্লাহ তায়ালা বলেন- مَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا অর্থাৎ, রাসূল (স) তোমাদের জন্য যা কিছু আনয়ন করেন, তোমরা তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।
২. রাসুলের কথায় হাদীসের গুরুত্ব : রাসূল (স) ইরশাদ করেন – تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابُ اللَّهِ وَسُنَّةُ رَسُولِهِ
অর্থাৎ, আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে গেলাম, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এ দুটি জিনিসকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে রাখবে ততক্ষণ তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না তা হলো আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ ।
আরো দেখো : হাদিস(حَدِيثٌ) অর্থ, সংজ্ঞা, প্রকারভেদ,উদ্দেশ্য ও আলোচ্য বিষয়
৩. মনীষীগণের দৃষ্টিতে হাদীসের গুরুত্ব :
ক. হযরত ওমর (রা) বলেন, খুব শীঘ্র এমন অনেক সম্প্রদায়ের উদ্ভব হবে যারা কুরআনের প্রতি সন্দেহ নিয়ে তোমাদের সাথে বিবাদ করবে। তোমরা তাদেরকে সুন্নাহর সাহায্যে পাকড়াও কর। কেননা সুন্নাহর ধারক আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখেন।
খ. ইমাম আবু হানীফা (র) বলেন- لَوْلَا السُّنَّةُ مَا فَهِمَ أَحَدٌ مِنَّا القُرْآنَ
গ. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র) বলেন- إِنَّ السُّنَّةَ تُفَسِّرُ القُرْآنَ وَتُبَيِّنُهُ
ঘ. শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (র) বলেন- إِنَّ السُّنَّةَ بَيَانٌ لِلْكِتَابِ وَلَا تُخَالِفُهُ
সর্বশেষ : জীবনের সকল ক্ষেত্রে হাদীসের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য অনস্বীকার্য। হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা একান্ত কর্তব্য।