বনভোজন – বাংলা রচনা [ class 3, 4, 5 ]

সূচনা : 

‘বনভোজন’ কথাটির অর্থ বনে গিয়ে ভোজন। বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকজন মিলে কোনো বন বা মনোরম স্থানে যে ভোজনের আয়োজন করা হয়, তা-ই বনভোজন ।

উদ্যোগ গ্রহণ : 

বার্ষিক পরীক্ষা সবে শেষ। শীত এসে গেছে। ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। আমরা কয়েকজন সহপাঠী নিজেরা আলাপ করে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে বনভোজনের প্রস্তাব করলাম । তিনি খুশি হয়ে অনুমতি দিলেন। শ্রেণি শিক্ষককে ডেকে তিনি কিছু পরামর্শও দিলেন।

বর্ণনা : 

সবাই আলোচনা করে বনভোজনের তারিখ ঠিক করা হলো। স্থির হলো, কুমিল্লার বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ময়নামতি যাওয়া হবে। যাত্রা শুরু হলো সকাল ৭টায়। ছাত্র-শিক্ষক সবার চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক। রাস্তার দু-ধারের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আমরা খুবই আনন্দ পাচ্ছিলাম ।

পিকনিক স্পটে পৌঁছতে সাড়ে নয়টা বেজে গেল। অল্পক্ষণের মধ্যেই সবার সহযোগিতায় রান্না শুরু হলো। রান্নার ফাকে আমরা নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তিতে মেতে উঠলাম। রান্নার পর সবাই হইচই করে খুশি মনে খেয়ে নিলাম। 

খাওয়া-দাওয়া শেষে দলবেঁধে বিভিন্ন দিকে বেড়াতে যাওয়া হলো । আমরা প্রাচীন শালবন বিহার ও সেখানকার জাদুঘর দেখলাম। ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললাম। এভাবে সারাদিন অনেক মজা হলো ।

ঘরে ফেরা : 

আনন্দ-আয়োজন শেষে এলো ফেরার পালা। সবাই বাসে উঠলে হর্ন বাজিয়ে চালক ফিরতি যাত্রা শুরু করলেন। আবারও মজা করতে করতে আমরা সন্ধ্যার দিকে স্কুলে পৌঁছে গেলাম। সেখান থেকে যার যার অভিভাবক আমাদের বাসায় নিয়ে গেলেন ।

উপসংহার : 

বনভোজন যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে গিয়ে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাও মেলে ।

আমার মূল লক্ষ্য একটাই (Sikkhagar-শিক্ষাগার) ওয়েবসাইটের হাত ধরে “শিক্ষা হবে উন্মুক্ত ও বাণিজ্যমুক্ত”। এই প্লাটফর্মে থাকবে একাডেমিক প্রস্তুতি, ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরি প্রস্তুতি, স্পেশাল স্কিল এবং ধর্মীয় শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।

Leave a Comment